নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জ ডিএসই লেনদেন নি¤œমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে মূল্য সূচক।
প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার দিন থেকে পুঁজিবাজারে টানা পতনে চলে। টানা চার দিনের পতনে সূচক কমেছিল ১২২ পয়েন্ট। এরপর গত সপ্তাহে বুধবার থেকে সূচক ইউটার্ন নেয়। বৃহস্পতিবার সূচক ও লেনদেনে বড় উল্লল্ফন দেখা যায়। সেদিন সূচক বেড়েছিল ৫১ পয়েন্টের বেশি। আর লেনদেন হয়েছিল হাজার কোটি টাকার ওপরে।
বাজেট ঘোষণার আগে থেকে অল্প অল্প করে পুঁজিবাজারের সূচক বাড়ছিল। তখন পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্টরা বাজেটে নানা প্রণোদনা দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছিল, যার ইতিবাচক প্রভাব পড়ছিল পুঁজিবাজারে। কিন্তু বাজেট উপস্থাপনের দিন মুখে মুখে খবর প্রচার হতে থাকে, বাজেটে প্রণোদনার তেমন কিছুই থাকছে না। ফলে বাজেট ঘোষণার দিন থেকেই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকেই পুঁজিবাজারে পতনে মোড় নেয়। এরপর পতন চলে।
যদিও গত সপ্তাহের শেষ দুই কার্যদিবসের গতি চলতি সপ্তাহেই দেখা যায়নি। প্রথম কার্যদিবস রোববারই সূচক মোড় নেয়। সেদিন সূচক কমে যায় ১৯ পয়েন্ট এবং লেনদেন হাজার কোটি টাকার নিচে নেমে যায়। সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস গতকাল সূচক ও লেনদেনে পতন আরও গভীর হয়। গতকাল সূচক কমে যায় ৪৯ পয়েন্টের বেশি। আর লেনদেনও রোববারের চেয়ে কম হয়েছে।
প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স গতকাল ৪৯ দশমিক ০৮ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৫৭ দশমিক ৩৮ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৯ দশমিক ০৯ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৫ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৬৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৮৮ দশমিক ০২ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৩১৪ দশমিক ৫৭ পয়েন্টে।
ডিএসইতে গতকাল লেনদেন হয়েছে ৮২২ কোটি ৩৯ লাখ টাকার, যা আগের কার্যদিবস থেকে ৭৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা কম। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৮৯৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকার।
ডিএসইতে ৩৮০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৬টির বা ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ৩২৫টির বা ৮৫ দশমিক ৫৩ শতাংশের এবং ১৯টির বা ৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৩৯ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৭৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৭২৮ দশমিক ৩৯ পয়েন্টে। সিএসইতে হাতবদল হওয়া ২৮৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে ৩৫টির, কমেছে ২২৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টির দর। সিএসইতে ৫৭ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।