নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি বাজারে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে আসন্ন বাজেটে একগুচ্ছ প্রস্তাবনা তৈরি করেছে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ)। প্রস্তাবনায় সাধারণ বিনিয়োগকারী এবং পুঁজিবাজারের জন্য ছয় ধরনের সুবিধা প্রদানের কথা বলা হয়েছে। খুব শিগগির এ প্রস্তাব জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) জমা দেওয়া হবে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
লিখিত প্রস্তাবনায় বলা হয়, ডিমিউচুয়ালাইজড স্টক এক্সচেঞ্জের নিয়ম অনুসারে কৌশলগত (বিদেশি) বিনিয়োগকারীদের হাতে ২৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রি না করা পর্যন্ত আসন্ন বাজেটে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) গেইন টেক্স সুবিধাসহ আগামী দুই বছর শতভাগ কর অবকাশ দেওয়া, স্টক এক্সচেঞ্জের স্টেকহোল্ডার কর্তৃক সিকিউরিটিজ লেনদেনের ওপর আরোপিত উৎসে কর (এআইটি) কমিয়ে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ থেকে শূন্য দশমিক ০১৫ শতাংশ করা, সবার জন্য লভ্যাংশের ওপর ১০ শতাংশ হারে কর সুবিধা রাখা, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য এক লাখ টাকা পর্যন্ত লভ্যাংশের ওপর করমুক্ত সুবিধা রাখা। এছাড়াও দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের স্তর (বিনিয়োগের সময়সীমা এক বছর, দুই বছর ও তিন বছর) অনুসারে বিনিয়োগকারীদের কর মওকুফ সুবিধা এবং তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১০ শতাংশ কর সুবিধার ব্যবধান রাখা। একই প্রস্তাব বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।
বিষয়টি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডিবিএ’র পরিচালক শরিফ আনোয়ার হোসেন বলেন, পুঁজিবাজারের স্বার্থে আমরা কিছু প্রস্তাবনা তৈরি করেছি, যা বাস্তবায়ন খুবই জরুরি। পুঁজিবাজারকে গতিশীল রাখতে এবং বিনিয়োগকারীদের বাজারে আকৃষ্ট করতে আগামী বাজেটে ডিবিএ’র প্রস্তাবনাগুলো বাস্তবায়ন হলে তারা উপকৃত হবেন।
বর্তমানে ডিমিউচুয়ালাইজেশন পরবর্তী স্টক এক্সচেঞ্জকে প্রথম বছর শতভাগ, দ্বিতীয় বছর ৮০ শতাংশ, তৃতীয় বছর ৬০ শতাংশ, চতুর্থ বছর ৪০ শতাংশ এবং পঞ্চম বছর ২০ শতাংশ হারে কর অবকাশ সুবিধা দিয়েছে সরকার। সে হিসেবে আগামী তিন বছর ৬০, ৪০ ও ২০ শতাংশ কর অবকাশ রয়েছে। কিন্তু এ বছরও এদিকে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ আসন্ন বাজেটে ডিমিউচুয়ালাইজেশন পরবর্তী স্টক এক্সচেঞ্জকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত শতভাগ কর অবকাশ সুবিধা চেয়ে আবেদন করেছে বলে জানা যায়। এর আগের বছরের বাজেটেও একই দাবি করেছিল।