নিজস্ব প্রতিবেদক: বাজেটে পোশাক শ্রমিকদের জন্য রেশনের দাবি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বাজেটে তাদের জন্য আবাসন ও চিকিৎসাক্ষেত্রে বরাদ্দ রাখার দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে ২০ রোজার মধ্যে তাদের মূল মজুরির সমান ঈদ বোনাস দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
গতকাল সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আয়োজনে সমাবেশে এসব দাবি জানান বক্তারা।
এ সময় ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার বলেন, রোজা শুরু হওয়ার এক মাস আগে থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। শ্রমিকদের জিনিসপত্র কেনার মতো সামর্থ্য নেই। এ অবস্থায় পরিবার-পরিজন নিয়ে তাদের কষ্টে জীবনযাপন করতে হচ্ছে।
গার্মেন্ট শ্রমিকদের ঈদ বোনাস ২০ রোজার মধ্যে দেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতি ঈদেই শ্রমিকদের বোনাস নিয়ে মালিকরা তালবাহানা করে থাকেন। মালিকরা শ্রমিকদের খাটান; কিন্তু বোনাস ও বকেয়া বেতন দিতে চান না। যে কারণে অভিজ্ঞতা থেকে আমরা আগেভাগেই এ দাবি পূরণের কথা বলছি।’
কোনো বাজেট ঘোষণার আগে কখনও শ্রমিকদের মতামত নেওয়া হয় না অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘গার্মেন্ট শিল্প হলো দেশের উৎপাদনের অন্যতম খাত। আসন্ন বাজেটে শ্রমিকদের জন্য আবাসন, রেশনিং ও চিকিৎসার জন্য আলাদা বরাদ্দ রাখতে হবে।’
বিভিন্ন সময় সরকার গার্মেন্টসহ অন্যান্য শিল্পমালিকদের প্রণোদনা দিয়ে থাকলেও সব সময় শ্রমিকরা অবহেলিত থাকেন বলে মন্তব্য করেন শ্রমিক নেতা জলি।
সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি কাজী রুহুল আমিন বলেন, ‘যখনই শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করা হয়, তখনই রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দমন-পীড়ন শুরু হয়।’
বিগত বছরে সরকার বিভিন্ন আইন ও বিধিমালা দিয়ে শ্রমিকদের অধিকার হরণ করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কার্যকরী সভাপতি সাদিকুর রহমান, সংগঠন নেতা মনজুর মঈন, ইকবাল হোসেন ও এমএ শাহীন উপস্থিত ছিলেন।