নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন বাজেটে শতভাগ কর অবকাশ সুবিধা চায় দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। সম্প্রতি এমন একটি প্রস্তাব অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মহিতের কাছে দিয়েছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।
সূত্র জানায়, এক্সচেঞ্জের আয়ের ওপর যদি করারোপ করা হয়, সেক্ষেত্রে এক্সচেঞ্জ তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থে লেনদেন ফি’র হার বাড়িয়ে দিতে বাধ্য হবে, যা পক্ষান্তরে সাধারণ বিনিয়োগকারীর ওপরই বর্তাবে। এতে পুঁজিবাজারের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। যা শিল্প ও বাণিজ্যিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করবে।
প্রস্তাবে বলা হয়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ডিএসইতে ৯ কোটি টাকা নেট পরিচালন মুনাফা হয়েছে। সুতরাং এখনই যদি আবার একই আয়ের ওপর করারোপ করা হয়। তবে স্টক এক্সচেঞ্জের সফলতার ব্যাপারে ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও সদিচ্ছার ব্যত্যয় ঘটাবে।
এছাড়া ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন অনুযায়ী এক্সচেঞ্জের বর্তমান শেয়ারহোল্ডারদের ৬০ শতাংশ শেয়ার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে অচিরেই বিক্রি করতে হবে। যদি এখনই এক্সচেঞ্জগুলোর আয়ের ওপর কর বসানো হয় তবে এটি এক্সচেঞ্জের নিট আয় বিশেষভাবে কমে যাবে, যা ডিএসই’র শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) এবং শেয়ারপ্রতি নেট অ্যাসেট ভ্যালুর (এনএভি) ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে। এতে ডিএসইর নিজস্ব শেয়ারের বিক্রয়মূল্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে।
ডিএসই’র প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়েছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নের সঙ্গে সমন্বয় রেখে ডিএসই বিশ্বমানের ট্রেডিং ও ম্যাচিং সিস্টেম বাস্তবায়ন করেছে। বাজারে ব্যাপ্তি ও লেনদেন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারি ট্রেজারি বন্ডের লেনদনে, ইটিএফ, ডেরিভেটিভসের মতো অ্যাডভান্স ইন্সট্র–মেন্ট চালুর জন্য কাজ করছে। এসএমই বা স্বল্প মূলধনি কোম্পানির তালিকাভুক্তি ও লেনদেনের জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের তত্ত্বাবধানে আলাদা বোর্ড গঠনের কাজ এগিয়ে চলছে। এছাড়া আলাদা ক্লিয়ারিং ও সেটেলমেন্ট কোম্পানি এবং ওটিসি মার্কেটের আধুনিকায়নের কাজ অব্যাহত রয়েছে। এসব কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ডিএসই’র আর্থিক সক্ষমতা প্রয়োজন। যার ফলে সম্ভাবনাময় পুঁজিবাজার দীর্ঘমেয়াদে নতুন উচ্চতায় স্থান পাবে।