নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে আজ। বিকাল ৫টায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আর বাজেট উপস্থাপন করা হবে আগামীকাল। চলতি একাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশন কভিড স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করে পরিচালিত হবে। কভিড পরিস্থিতির কারণে অধিবেশন হবে সংক্ষিপ্ত। অধিবেশনের মাঝে একাধিক দফা বিরতি দিয়ে ১২ কার্যদিবসের মতো এটি চলতে পারে বলে সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে।
সংসদ সচিবালয়ের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, গতবারের বাজেট অধিবেশনের মতো এবারও রোস্টার করে সংসদ সদস্যরা বৈঠকে অংশ নেবেন। প্রতিটি কার্যদিবসে উপস্থিতি সংখ্যা ১০০ থেকে ১২০ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হবে। এক্ষেত্রে একজন সংসদ সদস্য তিন থেকে চার কার্যদিবস অধিবেশনে যোগ দেবেন। যোগদানের জন্য তাদের কভিড নেগেটিভ সনদ থাকা বাধ্যতামূলক। এক দিন কভিডের টেস্টের নেগেটিভ ফলাফলের ভিত্তিতে পরপর দু’দিন অধিবেশনে যোগ দেয়া যাবে। ফলে সংসদে যোগদানের জন্য সংসদ সদস্যদের একাধিকবার নমুনা পরীক্ষার প্রয়োজন পড়বে।
জানা গেছে, ২ জুন অধিবেশন শুরুর পর চলতি সংসদের সদস্য আবদুল মতিন খসরু ও আসলামুল হকের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ও তা গ্রহণের পর অধিবেশন মূলতবি করা হবে। পরের দিন বেলা ৩টায় বাজেট প্রস্তাব ও অর্থ বিল উত্থাপন করা হবে। আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট হবে অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালের তৃতীয় বাজেট এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ত্রয়োদশ বাজেট।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বাজেট প্রস্তাব উত্থাপনের পর দু’দিন বিরতি দিয়ে ৬ জুন থেকে বাজেট আলোচনা শুরু হবে। ওইদিন থেকে বেলা ১১টায় অধিবেশন শুরু হবে। ৭ জুন সোমবার সম্পূরক বাজেট পাসের পর
অধিবেশন আবারও মূলতবি করা হবে। এরপর টানা ছয় দিন বিরতি দিয়ে আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা শুরু হবে ১৪ জুন। এই আলোচনা চলবে ১৫, ১৬, ১৭ ও ২৮ জুন পর্যন্ত। সাধারণ আলোচনা শেষে ২৯ জুন অর্থবিল এবং ৩০ জুন মূল বাজেট ও নির্দিষ্টকরণ বিল পাস হবে। পরদিন ১ জুলাই বাজেট অধিবেশন শেষ হবে।
নতুন বছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর মাত্র পাঁচ দিন আলোচনা হবে। আলোচনায় নির্ধারিত-সংখ্যক সরকার ও বিরোধী দলের সদস্য অংশ নেবেন। পুরো বাজেট পাসের প্রক্রিয়ায় ব্যয় হবে ১০ দিন। সেক্ষেত্রে ২০ থেকে ২৫ ঘণ্টা বাজেট আলোচনা হতে পারে। প্রতিদিন বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত এই আলোচনা চলবে। অধিবেশনে বাজেট ছাড়াও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাসের সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণের কারণে গত বছর বাজেট অধিবেশন সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য হয়েছিল। গত বছর মাত্র ৯ কার্যদিবস চলে বাজেট অধিবেশন, যা বাংলাদেশের বাজেট অধিবেশনের ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত।