Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 1:29 am

বাজেট বাস্তবায়নে জবাবদিহিতা থাকলে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সহায়ক হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন ও ইসলামী ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ড. মো. সেলিম উদ্দিন বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বলেন, বিশ্বব্যাপী মহামারি কভিড-১৯-এর প্রভাবে আমাদের অর্থনীতির প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে এক অস্বাভাবিক, অসাধারণ, অস্থির, অনিশ্চিত, বিপজ্জনক ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটটি ঘোষিত হয়েছে। এ বাজেটটি করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় বিগত কয়েক মাসে গৃহীত বিভিন্ন নীতি, কৌশল এবং প্রণোদনাকে বিশেষ বিবেচনায় রেখে জীবন-জীবিকাকে প্রাধান্য দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারের অন্যতম উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটের মৌলিক অঙ্গীকারগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো করোনা দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য বিভিন্ন নীতি কৌশলের সঠিক বাস্তবায়ন।

ড. সেলিম বলেন, বিগত তিন বছরে ২০১৬-১৭ থেকে ২০১৮-১৯ পর্যন্ত যথাক্রমে সাত দশমিক ২৮, সাত দশমিক ৮৬ এবং আট দশমিক ১৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার আলোকে চলতি বছরে প্রবৃদ্ধি আট দশমিক দুই শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বিশ্বব্যাপী করোনার প্রভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে আগ্রাসী আক্রান্তে পাঁচ দশমিক দুই শতাংশে সংশোধিত প্রাক্কলন করা হয়েছে। বাজেট ২০২০-২১ এ প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে আট দশমিক দুই শতাংশ।

বাজার চাহিদাসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কভিড-১৯ পূর্ববর্তী অবস্থায় পুনর্বাসন হলে হয়ত এ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা আমাদের প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ চাহিদা। মুদ্রাস্ফীতি পাঁচ দশমিক চার শতাংশে সীমাবদ্ধ রাখার আসার প্রত্যয় বাজেট প্রাক্কলন করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য খাতকে বিচার বিশ্লেষণপূর্বক অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়েছে যেটি কভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সমান হবে।

তিনি বলেন, বরাদ্দের এ প্রবৃদ্ধি সামাজিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষার আওতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।