বাজেট সাধারণ মানুষের জন্য নয়: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সংসদে উত্থাপিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট সাধারণ মানুষের জন্য নয়। যারা টাকা চুরি করল, ডাকাতি করল, লুণ্ঠন করল এবং বিদেশে টাকা পাচার করল এই বাজেটে সেই পাচার করা অর্থ ফেরাতে দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে। এতেই প্রমাণ করে প্রস্তাবিত বাজেট ওই লুণ্ঠনকারীদের।

গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, পিকে হালদারের মতো লোকেরা এখন সাত শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে বিদেশ থেকে টাকা ফেরত আনতে পারবেন এবং এর বিরুদ্ধে কেউ কোনো প্রশ্ন করতে পারবেন না। তাদের দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন) ধরবে না, হাইকোর্ট থেকেও তাদের কোনো প্রশ্ন করা যাবে না। তাহলে যারা এই বাজেট দিয়েছে, তারা কি সাধারণ মানুষের সরকার, এটা কি সাধারণ মানুষের জন্য বাজেট? যারা লুটেরা, চোর-ডাকাত এটা তাদের সরকার। আজকে এরা (সরকার) মানুষের পকেট কেটে নিজেদের পকেট ভারী করে এ দেশের অর্থনীতিকে, এদেশের সম্ভাবনাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, বাজেটে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে জনপ্রশাসনে। জনপ্রশাসন হচ্ছে সচিবালয়, পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট, ডিসি-ইউএনও। তাদের বেতন বাড়াচ্ছে, তাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বাড়াচ্ছে। আর তাদের জন্য জনগণের পকেট থেকে টাকা কেটে বেতন-ভাতা বাড়াচ্ছে। এই সরকার একটা অনির্বাচিত সরকার। জনগণের বাজেট দেয়ার কোনো এখতিয়ার তাদের নেই। গত ১৪-১৫ বছরে তাদের দুঃশাসন প্রমাণ করেছে তারা বাংলাদেশের মানুষের শত্রæ, তারা এখন জনগণের শত্রæ, তারা এখন গণশত্রæতে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের উন্নয়নের ফলে শতকরা ৪২ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে। অর্থাৎ ১০০ জনের মধ্যে ৪২ জন হচ্ছে দরিদ্র। তাদের ক্রয়ক্ষমতা নেই। সেই মানুষের জন্য আওয়ামী লীগ এই বাজেট কিংবা এর আগের বাজেটেও কিছু করেনি।

পদ্মা সেতু নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, সরকার শুধু উন্নয়ন বলে, এত উন্নয়ন যে সোনা দিয়ে সব মুড়ে দিচ্ছে। পাকিস্তান আমলে ১০ টাকা তেলের দাম বাড়লেই বলতাম, ১০ টাকার তেল খেয়ে স্বর্গে যাব। এখন বলতে চাই, উচ্চ টোল দিয়ে আমরা পদ্মা সেতু দিয়ে স্বর্গে যাব।

মির্জা ফখরুল বলেন, আর সময় ক্ষেপণের সময় নেই। এই মুহূর্তে পদত্যাগ করুন এবং পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। সংসদকে বাতিল করে দেন এবং একটি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে জনগণের কাছে, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন করে নতুন সরকার গঠন করে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অন্যথায় পালানোরও পথ খুঁজে পাবেন না।

মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহŸায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু ও আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির বরকত উল্লাহ বুলু, আমান উল্লাহ আমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আবদুস সালাম আজাদ, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মহানগর বিএনপির ইশরাক হোসেন, তাবিথ আউয়াল, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভ‚ঁইয়া জুয়েল, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল, যুবদলের মামুন হাসান, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, ছাত্রদলের সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০