নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সমাপ্ত তিন প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর, ২০১৯) আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে বাটা শু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যমতে, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত প্রথম তিন প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি অন্তর্বর্তীকালীন ১২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ২৪ টাকা শূন্য ছয় পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৬০ টাকা ৬৭ পয়সা। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৯ জানুয়ারি।
এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ডিএসইতে এক দশমিক ৮৫ শতাংশ বা ১২ টাকা ৭০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৬৭৩ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৬৭০ টাকা ৭০ পয়সা। দিনজুড়ে পাঁচ হাজার ৫৭২টি শেয়ার মোট ৩১৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৩৭ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৬৬৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬৮৬ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৬৬৫ টাকা থেকে এক হাজার ২৮৭ টাকায় হাতবদল হয়।
এর আগে ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩৪৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৭২ টাকা ৭৯ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৩৪৭ টাকা ১১ পয়সা। ওই বছর মোট মুনাফা করেছে ৯৯ কোটি ৪৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ৮২ টাকা ৩৪ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৩০৮ টাকা ৮২ পয়সা।
কোম্পানিটি ১৯৮৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৪৬১ কোটি চার লাখ ২০ হাজার টাকা। কোম্পানির মোট এক কোটি ৩৬ লাখ ৮০ হাজার শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৭০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৮ দশমিক ৯২ শতাংশ, বিদেশি এক দশমিক ৮২ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৯ দশমিক ২৬ শতাংশ শেয়ার।
