নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে চামড়া শিল্প খাতের কোম্পানি বাটা শু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি নতুন করে কোনো লভ্যাংশ না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। যেহেতু এর আগে এ অর্থবছরে কোম্পানিটি অন্তর্বর্তীকালীন ১২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছে। তাই ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন ১২৫ শতাংশই চূড়ান্ত লভ্যাংশ। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৬ টাকা ১১ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৬৪ টাকা ৬৫ পয়সা। আগের বছর একই সময় যা ছিল যথাক্রমে ৭২ টাকা ৭০ পয়সা ও ৩৪৭ টাকা ১১ পয়সা। আর এ হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৬৮ টাকা ৬৬ পয়সা, আগের বছর যা ছিল দুই টাকা ৭৫ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ১০ আগস্ট বেলা ১১টায় অনলাইনে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৯ জুলাই।
এদিকে কোম্পানিটির চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২০) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা সাত পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল তিন টাকা ২৬ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে এক টাকা ১৯ পয়সা। ২০২০ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৩৬৬ টাকা ৭২ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিল ৩৬৪ টাকা ৬৫ পয়সা। আর প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে পাঁচ টাকা ৮৮ পয়সা (লোকসান) আগের বছর একই প্রান্তিকে হয়েছিল আট টাকা দুই পয়সা।
২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩৪৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে, যা ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে ছিল ৩৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭২ টাকা ৭৯ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৪৭ টাকা ১১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ৮২ টাকা ৩৪ পয়সা ও ৩০৮ টাকা ৮২ পয়সা।
এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ডিএসইতে অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ৬৯৩ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৬৯৩ টাকা ২০ পয়সা। দিনজুড়ে ১২৫টি শেয়ার মোট আটবার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৮৭ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর ৬৯৩ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৬১৮ টাকা থেকে এক হাজার ৪৭ টাকায় হাতবদল হয়।
কোম্পানিটি ১৯৮৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৪৬১ কোটি চার লাখ ২০ হাজার টাকা। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট এক কোটি ৩৬ লাখ ৮০ হাজার শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৭০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে এক দশমিক ৯৪ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ৯ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ শেয়ার।