নিজস্ব প্রতিবেদক: পূর্বাচলে নবনির্মিত ‘বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে ২০২২ সালের বাণিজ্যমেলা। প্রথমবারের মতো আগারগাঁও ছেড়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা পাড়ি জমাচ্ছে পূর্বাচল উপশহরে, যেখানে যেতে বাস সার্ভিস চালু করছে বিআরটিসি। রাজধানীর অদূরের এ মেলা কেন্দ্রে যেতে সারাদিনই বাস চলবে বলে জানিয়েছেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম।
বিআরটিসির দোতলা বাস রাজধানীর দুই স্থান থেকে ছেড়ে যাবে মেলার উদ্দেশ্যে। শেওড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে যাত্রা করে কুড়িল বিশ্বরোড হয়ে একটি রুটে এবং কমলাপুর থেকে ৩০০ ফুট সড়ক হয়ে আরেক রুটে মেলা পর্যন্ত যাতায়াত করবে।
এবারই প্রথম পূর্বাচল উপশহরের চার নম্বর সেক্টরে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে বসবে বাণিজ্যমেলা।
বিআরটিসির চেয়ারম্যান জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে দর্শনার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী দোতলা বাস সরবরাহ করবে বিআরটিসি। জোয়ারসাহারা ও কমলাপুর ডিপোর বাস দিয়ে এ সেবা দেয়া হবে।
‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে। যেসব পয়েন্টে গাড়ির প্রয়োজন হবে, আমরা সেসব পয়েন্টে পর্যাপ্ত গাড়ি রাখব। কমলাপুর থেকে রামপুরা, বাড্ডা, কুড়িল বিশ্বরোড হয়ে বাণিজ্যমেলা এবং শেওড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে কুড়িল হয়ে বাণিজ্যমেলা পর্যন্ত এসব বাস চলাচল করবে।
তিনি জানান, বিআরটিসির বাসে সরকার-নির্ধারিত ভাড়া নেয়া হবে।
কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলাকেন্দ্র পর্যন্ত দূরত্ব ১৪ কিলোমিটারের কিছু বেশি। তবে যাতায়াতের জন্য যানবাহনের সংখ্যা কম। কুড়িল থেকে গাউছিয়া পর্যন্ত কিছু বিআরটিসি বাস চলাচল করলেও তা পর্যাপ্ত নয়। ফলে মেলা প্রাঙ্গণে যাতায়াত কষ্টসাধ্য জনসাধারণের জন্য। সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বাণিজ্যমেলাকে কেন্দ্র করে কুড়িল ফ্লাইওভার থেকে পূর্বাচলের মেলাকেন্দ্রে বিআরটিসির বাস চলাচলের উদ্যোগ নেয়া হয়।