Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 1:19 pm

বাণিজ্যমেলায় সাড়ে ছয় কোটি টাকার ভ্যাট আদায়

নিজস্ব প্রতিবেদক: সদ্যসমাপ্ত ২৫তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা থেকে ছয় কোটি ৪৬ লাখ টাকার ভ্যাট (মূসক) আদায় করেছে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকা পশ্চিম। সর্বোচ্চ ভ্যাট দেওয়ায় ১০টি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেওয়া হবে। ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনারেট জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) এক বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ সম্মাননা প্রদান করবে। গতকাল ভ্যাট (পশ্চিম) কমিশনার ড. মইনুল খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ঢাকা (পশ্চিম) ভ্যাট কমিশনারেট সূত্র জানায়, সর্বোচ্চ ভ্যাটদাতা নির্বাচিত হয়েছে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এরপর রয়েছেÑএসকোয়ার ইলেকট্রনিকস লিমিটেড ও সারাহ লাইফ স্টাইল লিমিটেড। এ তিনটি প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে ৩৭ লাখ ৩৬ হাজার টাকা, ৩৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা ও ৩২ লাখ পাঁচ হাজার টাকা ভ্যাট পরিশোধ করে। মেলার অন্য যেসব প্রতিষ্ঠান সম্মাননা পাবে তার মধ্যে রয়েছেÑর‌্যাংগস ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড, হাতিল কমপ্লেক্স লিমিটেড, মাল্টিলাইন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ফিট এলিগেন্স লিমিটেড, নাভানা ফার্নিচার লিমিটেড, ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড এবং বঙ্গ বেকারস লিমিটেড।

সূত্র জানায়, এ মেলায় সর্বমোট ভ্যাট আদায় হয়েছে ছয় কোটি ৪৬ লাখ টাকা। মেলায় অধিকাংশ পণ্যে খুচরা পর্যায়ে পাঁচ শতাংশ ভ্যাট আদায় করা হয়েছে। গতবছর মেলায় এ ভ্যাট আহরণ করা হয়েছিল সাত কোটি দুই লাখ টাকা। এবারের মেলায় স্টলের সংখ্যা ও দর্শনার্থীদের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় ভ্যাট কর্তৃপক্ষের নজরদারি সত্ত্বেও ভ্যাট আহরণ কিছুটা কম হয়েছে। মেলায় এবার ঢাকা (পশ্চিম) ভ্যাট কমিশনারেট থেকে আটটি টিম নজরদারি করে। নতুন ভ্যাট আইনের পরিপালন নিশ্চিত করতে ও যথাযথ ভ্যাট আহরণ করতে ২৯টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা করা হয়। এতে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা আরোপ ও তা আদায় করা হয়।

সূত্র জানায়, এ বছর স্টলের সংখ্যা ছিল ৪৮৭, যা আগের বছর ছিল ৫৬৯টি। অন্যদিকে চলতি বছরের দর্শনার্থীর সংখ্যা ২৩ লাখ। আগের বছর এ সংখ্যা ছিল ৩৫ লাখ। তাছাড়া এনবিআর চলতি বছরের মেলায় কেন্দ্রীয় নিবন্ধনের ক্ষেত্রে কেবল পাঁচ শতাংশ ট্রেড ভ্যাট আদায়ের নির্দেশনা দেয়। এতে কেবল হাতিল ফার্নিচার থেকে প্রায় ৭৮ লাখ টাকা কম আহরণ হয়েছে। গত বছর ভ্যাটের এ হার ছিল ১৫ শতাংশ। বিভিন্ন কারণে সাপ্তাহিক ছুটিতে তিন দিন (১০ জানুয়ারি শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি শুক্রবার ও ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার) পূর্ণ দিবস বন্ধ ছিল।

অন্যদিকে ৭, ৯ ও ২২ জানুয়ারি মেলা অর্ধদিবস বন্ধ ছিল। পরে পাঁচ দিন মেলার মেয়াদ বাড়লেও তাতে কোনো শুক্রবার, শনিবার ছিল না এবং পর্যাপ্ত ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের উপস্থিতিও তুলনামূলকভাবে কম ছিল।

সূত্র আরও জানায়, ঢাকা (পশ্চিম) ভ্যাট কমিশনারেট চলতি মাসে ব্যবসায়ীদের এ বিশেষ সম্মাননা প্রদান করবে। ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্যই প্রতিবছর বাণিজ্যমেলায় সংগৃহীত সর্বোচ্চ ভ্যাটদাতাকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।