Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 7:19 pm

বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে শজনে

শজনে গাছের কাঠের নেই কোনো গুণ এ কথা বললে অত্যুক্তি হবে না। তবে ভেষজ গুণসম্পন্ন শজনের ফুল, ফল, পাতা সবজি হিসেবে একটি চালু খাবার। সারা দেশে শজনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ কারণে দেশের অনেক জায়গার মতো বর্তমানে পাবনায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে ভেষজ গুণসমৃদ্ধ সবজি শজনে।
বসন্তের শুরুতে শজনে গাছ ফুলে ফুলে ভরে ওঠে। এর কয়েক দিন পরই দেখা যায় ফুলের বদলে শজনের ডাঁটা। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হওয়ায় এবার পাবনায় শজনের বেশ ভালো ফলন হয়েছে। এখন শুধু বাড়ির আঙিনা নয়, শজনে আবাদ এখন ক্ষেতখামারেও হচ্ছে। সময়ের পরিক্রমা ও চাহিদা থাকায় বিভিন্ন এলাকায় কৃষক ফসলি জমিতে শজনের চাষ করছেন। পরিকল্পিতভাবে শজনের চাষ করে লাভবান হচ্ছেন অনেকে। ফাল্গুনের শেষ ও চৈত্রের শুরুতে কচি শজনের ডাঁটা খাওয়ার উপযোগী হয়। মৌসুমের শুরুতে কেজিপ্রতি ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হলেও শেষ সময়ে এসে দাম দাঁড়ায় ২০ থেকে ৩০ টাকায়। প্রাথমিক পর্যায়ে তুলতুলে কচি নরম শজনের ডাঁটা অধিক দামের কারণে অনেকে খেতে পারেন না।
পাবনার চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা গ্রামের গৃহবধূ সালেহা খাতুন জানান, আগে বাড়িতে খাবারের জন্য শজনে লাগাতাম। গত বছর বাড়িতে খাবারের পাশাপাশি বাজারেও বিক্রি করেছি। এবার গাছে প্রচুর শজনের ডাঁটা হয়েছে। আশা করছি শজনে বিক্রি করে ভালো টাকা পাব।
পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা গ্রামের কামাল হোসেন জানান, আগে বাড়ির মধ্যে শজনে গাছ লাগানো হলেও এখন আবাদি জমি ও আইলে গাছ লাগানো হচ্ছে। শজনে চাষে তেমন কোনো খরচ নেই। রোগবালাইও কম। তবে ফুল আসা থেকে শজনে ধরার পর পর্যন্ত কীটনাশক স্প্রে করলে ফলন আরও ভালো হয়।
পাবনার আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ইমরান হোসেন জানান, শজনে বসন্ত প্রতিরোধ ও রক্ত পরিশুদ্ধকরণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদেয় খাবার। এটি ওষুধ হিসেবেও ব্যবহƒত হয়ে থাকে। মরণঘাতী ক্যানসারসহ জন্ডিস, মূত্র-সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে শজনের নানা অংশ ব্যবহার করা হয় ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায়।
পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক বিভূতি ভূষণ সরকার জানান, শজনে একটি লাভজনক ফসল এবং এর ঔষুধি গুণ রয়েছে।

শাহীন রহমান