Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 7:24 pm

বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কনফিডেন্স পাওয়ার বগুড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছে সিমেন্ট খাতের কোম্পানি কনফিডেন্স সিমেন্ট লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান কনফিডেন্স পাওয়ার বগুড়া লিমিটেড। আর এ কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুতের সম্পূর্ণটাই বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) কাছে বিক্রি করা হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, কনফিডেন্স পাওয়ার বগুড়া লিমিটেডের ৯৯ শতাংশ শেয়ার ধারণ করছে কনফিডেন্স পাওয়ার হোল্ডিংস লিমিটেড। আর কনফিডেন্স পাওয়ার হোল্ডিংস লিমিটেডের ৪১ শতাংশ ইক্যুইটি ক্যাপিটাল কনফিডেন্স সিমেন্টের। উল্লেখ্য, কনফিডেন্স পাওয়ার বগুড়া লিমিটেডের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১১৩ মেগাওয়াট। কনফিডেন্স পাওয়ার হোল্ডিংস লিমিটেডের বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য মোট চারটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে কনফিডেন্স পাওয়ার বগুড়া লিমিটেড, কনফিডেন্স পাওয়ার বগুড়া ইউনিট২ লিমিটেড ও কনফিডেন্স পাওয়ার রংপুর লিমিটেডের উৎপাদন ক্ষমতা ১১৩ মেগাওয়াট করে এবং জোডিয়াক পাওয়ার চিটাগং লিমিটেডের ৫৪ দশমিক ৩৬ মেগাওয়াট।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১৫ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৪ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় সিবিসি কনফিডেন্স সিমেন্ট সেন্টার, ঘাট-১১, পূর্ব পতেঙ্গা, চট্টগ্রামে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। ওই সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ছয় টাকা এক পয়সা এবং ৩০ জুন ২০১৯ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়ায় ৬৭ টাকা ২৪ পয়সা। যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে পাঁচ টাকা ৬৭ পয়সা ও ৭৪ টাকা ৭৩ পয়সা।

এছাড়া চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০১৯) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে দুই টাকা ৫১ পয়সা, আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা ৮১ পয়সা। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এনএভি দাঁড়িয়েছে ৭০ টাকা ৮২ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ৬৭ টাকা ২৪ পয়সা। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে দুই টাকা ৭৪ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ৪১ পয়সা ছিল।

এর আগে গত ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ নগদ ও ২০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় ইপিএস হয়েছে ছয় টাকা ৯৩ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ৭৬ টাকা। কোম্পানিটি ২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরেও ১৫ শতাংশ নগদ ও ২০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় ইপিএস হয়েছে ১১ টাকা সাত পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ৮৪ টাকা ১০ পয়সা। ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।

এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৩৬ শতাংশ বা ৪০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১১০ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১১১ টাকা ১০ পয়সা। দিনজুড়ে এক লাখ ৫৯ হাজার ৯৯১ শেয়ার মোট ৫৮৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ৭৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। এক বছরে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১০৯ টাকা থেকে ২০৮ টাকায় হাতবদল হয়।

১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৬৪ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২৭৯ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

কোম্পানিটির মোট ছয় কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ৬৬৯ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩০ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৪৪ দশমিক ২৮ শতাংশ। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ১৬ দশমিক তিন এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১৮ দশমিক ৪৯।