বাণিজ্যিক উদ্যোগে ঝুঁকিগুলো ও রণদা

অনাথ শিশুর মতো যার জীবনখানি নিস্তরঙ্গে নিথর হতে পারতো নিযুত জীবনের নিঠুর নিয়তিপাশে তিনি জুগিয়েছেন হৃৎস্পন্দনের খোরাক। দেশের জন্য লড়েছেন। শূন্য জমিনে গড়েছেন ব্যবসায় কাঠামো। জীবনের সব অর্জন লিখে দিয়েছেন মানুষের নামে। তিনিই দেশের সবচেয়ে সফল ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠান ‘কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট’-এর জনক রণদা প্রসাদ সাহা। নারীশিক্ষা ও চিকিৎসায় নারী-পুরুষ কিংবা ধনী-গরিবের ভেদ ভেঙেছেন। তার জীবনেই রয়েছে সসীমকে ডিঙিয়ে অসীমে শক্তি সঞ্চারের কথামালা। এ জীবন ও কেতন যেন রোমাঞ্চিত হৃদয়েরই উদ্দীপ্ত প্রেরণা।  পর্ব-৩৯..

মিজানুর রহমান শেলী: বৈশ্বিক প্রেক্ষিত বিচারে ভারত ইংরেজ আগমনের আগে একটি সম্পন্ন দেশ ছিল। সে কথা সমকালীন সবাই স্বীকার করেছেন। তাই এদেশের প্রতি প্রলুব্ধ চাহনিতে পাশ্চাত্যের প্রায় সব রাষ্ট্রই হয়েছে লালায়িত। এদেশের পণ্য-সম্পদ আর বাণিজ্যিক পরিস্থিতি উপভোগ করতে ন্যায়-অন্যায়ের মাথা কুটেছে ইউরোপ-আমেরিকান রাষ্ট্রগুলো। এরপরে শুরু হলো আধিপত্য আর অধীনতা। নিজের সম্পদের বিনিময়ে নিজেরই বশ্যতা মেনে নেওয়ার দায়। ভারতবাসীর এই নিপীড়িত গণদারিদ্র্যের যুগ পাড়ি দিয়ে ১৯৩২ সালের পর থেকে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর সময় এলো। অর্থনৈতিক পরিভাষায় উন্নয়নশীল বলা না গেলেও একটি উন্নয়নের চাল-চরিত তখন বিরাজ করছিল ভারতজুড়ে। কিন্তু মাথা উঁচু করে স্থির হওয়াটা সহজ ছিল না। যাহোক, এই শুষ্ক পারিবৈশিক প্রেক্ষিতেই রণদা শুরু করলেন ব্যবসা। তাই তাকে নানা প্রকার ঝুঁকির মধ্য দিয়ে সংগ্রামের পথে হাঁটতে হয়েছে।

উন্নয়নশীল দেশের যে কোনো বাণিজ্যিক উদ্যোগের জন্য একটি ব্যবসায়িক প্রতিবেশ বা বাস্তুসংস্থান দরকার হয়। এই ব্যবসায়িক প্রতিবেশটা গড়ে ওঠে ঝুঁকি গ্রহণ, পুঁজি সহায়তা, বাজারব্যবস্থা, প্রযুক্তি ও মধ্যস্থতাকারী বা মধ্যস্বত্বভোগীর সমন্বয়ে। এগুলোর যে কোনো এক বা একাধিক উপকরণের ঘাটতির কারণেই বাস্তুসংস্থানের বিপর্যয় ঘটতে পারে। এ ধরনের ঝুঁকি গ্রহীতার কিছু বাধা অতিক্রম করতে হয়। যেমন এক. বাণিজ্যিক উদ্যোগের ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক আড়ষ্টতা, দুই. মানবসম্পদের (প্রশিক্ষণ, অভিজ্ঞতা ও পরিপ্রেক্ষিত) অভাব, তিন. বিনিয়োগ করার মতো ব্যক্তিগত সম্পদের দৈন্য, চার. বাজার প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে থাকা, পাঁচ. নিরাপত্তাহীনতা, ছয়. শাসনপ্রণালি পরিবর্তন এবং সাত. বাজার ব্যবস্থায় তথ্য আদান-প্রদানে ঘাটতি থাকা। কোনো বাণিজ্যিক উদ্যোগে এই সাতটি সংকটের যে কোনো একটি উপকরণের অভাবেই বাস্তুসংস্থান নষ্ট হয়ে যায়।

বাণিজ্যিক উদ্যোগের ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক আড়ষ্টতা: নর্থ ও স্মলবনের মতে, প্রচলিত উপায়ে কোনো উন্নয়নশীল অঞ্চলে বাণিজ্যিক উদ্যোগ গড়ে তুলতে হলে উন্নত অঞ্চলের বাণিজ্যিক কাঠামোগত ধারণার সঙ্গে তাদের খাপ খাইয়ে তুলতে হয়। এক্ষেত্রে তাদের উন্নত বাণিজ্যিক শিক্ষা-প্রশিক্ষণ দেওয়া যায়। এমনকি বাণিজ্যিক উদ্যোগে সফল কোনো মানুষকে তাদের মাঝে মডেল হিসেবে রেখে অন্যদের উদ্বুদ্ধ করাও নিশ্চয় ভালো কৌশল। এই মডেল উদ্যোক্তাদের সম্পর্কে কিছু বৈশিষ্ট্য নর্থ ও স্মলবোন উল্লেখ করেন। যেমন এক. যাপিত জীবনে মানুষ হিসেবে উদ্যোক্তা, দুই. অবসরপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তির উদ্যোক্তা হয়ে ওঠা অথবা তিন. প্রাক্তন গ্রামবাসী যিনি বাইরে কোথাও থেকে ব্যবসায় অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন। রণদা প্রসাদ সাহার সঙ্গে দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্যখানি মিলে যায়। তৃতীয় বৈশিষ্ট্যের সঙ্গেও সামান্য সাযুজ্য পাওয়া যায়। ১৩ কিংবা ১৪ বছর বয়স থেকে কলকাতায় রণদা কয়লা কুড়িয়ে বাড়ি বাড়ি বিক্রি এবং খবরের কাগজ বিক্রি করেছেন। এই অভিজ্ঞতাখানি তার ঝুলিতেই ছিল। এরপর যুদ্ধে গেলেন। অবসর নিলেন সেনাবাহিনী থেকে। চাকরি করলেন কিছুদিন। তারপর তিনি এলে অবসরপ্রাপ্ত যুবক হিসেবেই ব্যবসা শুরু করলেন। তার ব্যবসায় উদ্যোগ গ্রহণের ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক আড়ষ্টতা তেমন আসেনি।

ব্রিজেশ প্যাটেল ও ক্রিত শ্যাভদারের ভারতীয় সমাজের প্রেক্ষিত গবেষণায় উঠে এসেছে, বাবার পেশা যদি ব্যবসা না হয় তবে সন্তানের পেশা ব্যবসা হওয়াটা পরিবার থেকে পছন্দনীয় নয়। তাই চাকরির চেয়ে ব্যবসায় বেশি টাকা আয়ের যুক্তি দেখালেও, পরিবারের সম্মতি পাওয়া যায় না। তাদের ধারণা, ব্যবসা কেবল উত্তরাধিকার সূত্রেই অর্জিত হয়। এভাবেই পরিবার থেকে প্রথম বাধা শুরু হয়। ব্রিজেশ ও ক্রিত অবশ্য পরিবারের সমস্যাকে বড় করে দেখলেও সামাজিক বা সাংস্কৃতিক আড়ষ্টতাকেও বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেছেন। তাদের মতে, গ্রাম সমাজের শিক্ষিত পরিবারেরও দেখা যায় এ আড়ষ্টতা। যেমন দুই বন্ধু পড়ালেখা শেষ করে একজন উদ্যোক্তা হওয়ার ইচ্ছে দেখাল, আরেকজন করল ব্যাংকের চাকরি। কিছুদিনের মধ্যেই দেখা যাবে ব্যাংকার গাড়ি-বাড়ি গড়ে তুলবে ব্যাংকঋণের মাধ্যমে, কিন্তু উদ্যোগী ছেলেটির তখনও দেখানোর মতো কিছুই থাকবে না।

রণদা প্রসাদ সাহা বিশ শতকের তৃতীয় দশকে ব্যবসায় উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ব্রিটিশ আমলের শুরুর দিকে মোগল ব্যবসায়ী এবং সম্ভ্রান্ত শ্রেণিকে অবদমিত করে নতুন এক বিত্তবান ও ক্ষমতাশালী শ্রেণি কাঠামো তৈরি করে ইংরেজরা। এই মধ্যবিত্ত শ্রেণিসমাজ আস্তে আস্তে সমাজের মানসে পরিণত হয়। এরা ইংরেজি শেখে, ইউরোপীয় ফ্যাশন গ্রহণ করে। আদতে তারা পড়ালেখা শিখে ব্রিটিশের চাপরাশি হয়ে থাকতেই পছন্দ করত। এদের বলা হতো ভদ্রলোক সমাজ। আর একটি শ্রেণি সংস্কৃতি তখন গড়ে ওঠে। তাদের বলা হতো বাবু বা ‘বাবু সংস্কৃতি’। বাবু সংস্কৃতির লোকেরা ব্যবসা-বাণিজ্য করত। ভদ্রলোক সমাজ ব্যবসা বাণিজ্য করা ছোটলোকি কাজ বলে মনে করত। তার চেয়ে ব্রিটিশ অফিসের সাধারণ কেরানি হতে পারলেও তারা জীবনকে ধন্য মনে করত। ফলে বাঙালিদের ভেতর ব্যবসায় উদ্যোগ নিতে এক ধরনের সাংস্কৃতিক আড়ষ্টতা ব্রিটিশের শেষ সময় অবধি টিকে ছিল। কিন্তু রণদা প্রসাদ সাহার ক্ষেত্রে এই প্রভাবটা পড়েনি। তার দুটি কারণ রয়েছে। প্রথম কারণটি হলো, রণদার পরিবার বংশানুক্রমে ব্যবসায়ী। তার নামের সঙ্গেই তার ব্যবসায় বংশের পরিচয় লুকিয়ে আছে। পদবিতে তারা ‘সাহা’। সাহারা হাজার বছরের বাঙালি ইতিহাসে ব্যবসায়ী বলেই পরিচিত। ইতিহাসে প্রমাণিত। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেসের ডিকশনারিতেও এই তথ্য পাওয়া যায়। অক্সফোর্ড ডিকশনারির তথ্যানুসার, এটা বেঙ্গল ও বাংলাদেশি পদবি। শব্দটির মূল উৎপত্তি সংস্কৃত শব্দ ‘সাধু’ থেকে। সাধু অর্থ যিনি সৎ ও ভালো। ব্যবহারিক অর্থে সাহা মানে বণিক বা ব্যবসায়ী।

বঙ্গীয় সাহুবণিক জাতি বৈশ্য বা তৃতীয় বর্ণ। সম্বন্ধ নির্ণয় ‘গ্রন্থে গ্রন্থকার লিখেছেন, বৈশ্যরা জাতিগতভাবে ব্যবসায়, বাণিজ্য, কৃষি ও সুদি কারবার করে। এদের সাধারণ নাম বণিক। বঙ্গদেশীয় বৈশ্যরা শূদ্রতে পতিত হয়েছে।’ বিশ্বকোষ মহাভিধানে বলা হয়েছে, ভারতের সবখানেই এখনও বৈশ্যজাতি বাস করে। অনেকে বলে, বঙ্গীয় বণিকেরা খ্যাতি লাভের আগে দেশ-বিদেশে প্রসিদ্ধ হয়েছিল। বাঙ্গালায় সে বৈশ্যজাতি এককালে লোপ পায়। এ কথা কে বিশ্বাস করবে? কার্যত, বাংলায় এখনও বৈশ্যজাতির অভাব নেই। বণিক বা ব্যবসাজীবী রূপে লাখ লাখ বৈশ্য এখনও গৌড়বঙ্গে রয়েছে। এরা হলো গন্ধ বণিক, সুবর্ণ বণিক, তাম্বুল বণিক, সাহা বণিক (পূর্ববঙ্গের সাহা মহাজন) প্রভৃতি জাতি যে বৈশ্য বংশধর, তাতে সন্দেহ নেই।

বিশ্বকোষ মহাভিধানে বর্ণিত, এই সাহা বণিকই আসলে বাংলার সাহা বংশ এবং তাদের ব্যবসাবৃত্তির সঙ্গে সংসৃষ্ট। তাদের বৃত্তি, জাতীয় নাম এবং বংশপদ্ধতি হতে তাদের বৈশ্যত্ব প্রতিপাদিত হয়। এটা সুধী সমাজের সিদ্ধান্ত। এই সাহুবণিক জাতির নামতত্ত¡ সম্বন্ধে ‘সৌলুক কুল কারিকায়’ লেখা আছে যে, দনুজ গুরুর অভিশাপে সুলুকোস্তব সেলুক্য বা শুল্কজাতি সাহা নামে খ্যাত হয়। শুদ্ধাচারিতা ও ধর্মচারে সাধু নামেও খ্যাতি লাভ করে। এরা নিঃসংশয়ে বৈশ্য শ্রীযুক্ত কৃষ্ণনাথ ঘোষ তার গ্রন্থে লিখেছেন, ‘সাহা এই শব্দটি জাতিবাচক নয়, যেমন বণিক শব্দে কোনো জাতিকে বোঝায় না কিন্তু তারা পেশায় ব্যবসায়ী। একইভাবে সাহা শব্দে আগে কোনো জাতিকে বোঝানো হতো না, কিন্তু তারা পেশায় ব্যবসায়ী। কিন্তু বর্তমানে সাহা বলতে একটি জাতিবিশেষকেই ইঙ্গিত করা হয়। সাহা শব্দের অর্থ কেবল ব্যবসায়ী নয়। সংস্কৃতে সাধু শব্দের অপভ্রংশে সাহু, সাহা ও সা। সংস্কৃতে সাধু শব্দের অর্থ ধনবান, জ্ঞানবান, ধার্মিক, বণিক, ব্যবসায়ী: সুতরাং সাধু, সাহা ও বণিক এ তিনটি শব্দই একই অর্থ বোধক। স্বর্গীয় ধর্মানন্দ মহাভারতী মহাশয় বলেন, “সাহা শব্দ একটি পুরাতন ও প্রখ্যাত সংস্কৃত শব্দের অপভ্রংশ। ঐ শব্দের নাম সাধু। বিহারে, অযোধ্যায়, উত্তর-পশ্চিম প্রদেশে এবং ভারতবর্ষের আরও নানা স্থানে ধু অন্তক শব্দ হু! বলিয়া অভিহিত হয়; যথা বধূ-বহু, গোধুম-গোহুম, দধি-দহি, মধু-মহু, বা মৌ, মধুপুরী-মহুপুরী, অবধূত-অবহুত, দাদুজী-দাউজী ইত্যাদি। এইরূপে ঐ সাধু শব্দ সাহু, সাউ, সাহা, সউহ, সা, সাজী প্রভৃতি শব্দে অপভ্রষ্ট হয়ে গেছে। সংস্কৃত সাধু শব্দের অর্থ শুদ্ধচেতা লোক, ত্যাগী, ব্রহ্মদশী, ধনবান, বণিক, ব্যবসায়ী প্রভৃতি। জাতিতত্তে¡ সাধু শব্দের অর্থ বণিক। বৃহৎ সংহিতার ‘সাধুনাং বণিজাম’-এ এরূপ বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।’’

অর্থাৎ একজন সাহা বংশের মানুষ হিসেবে রণদার রক্তেই মিশে ছিল ব্যবসা-বাণিজ্য। আরও বেশি স্পষ্ট হয় যখন রণদা প্রসাদের বংশপরম্পরার পেশাবৃত্তি ও মির্জাপুরের সাহাপাড়ার জীবনাচার বিচার করি। রণদা প্রসাদ সাহার আগের কয়েক পুরুষ ক্ষুদ্র ব্যবসায়-বাণিজ্যের সঙ্গে নিয়োজিত ছিলেন। রণদার বাবাও কিছুদিন লগ্নির ব্যবসায় করেছেন। তবে তার কোনো নির্দিষ্ট পেশা ছিল না। আর্থিক দৈন্যতা লেগেই থাকত। সামান্য পড়ালেখা জানার কারণে পোদ্দারি করতেন। যদিও তারমতো ক্ষুদ্র পোদ্দারদের সে সময় পেটি পোদ্দার বলা হতো। এরকম পেটি পোদ্দার আদতে নিজের সংসার চালাতেই হিমশিম খেয়ে যেতেন। বাবা দেবেন্দ্রের অবস্থাও তাই ছিল। কিন্তু সাহা বংশের হওয়ায় চাষাবাস কোনো দিন করা হয়নি। ন্যূনতম যা অর্থকরী পেয়েছেন তার ক্ষুদ্র লগ্নি করেছেন। মির্জাপুরের এই সাহাপাড়ায় কেউই চাষাবাস করে না। কার্যত, তারা ব্যবসা-বাণিজ্যই করে। তবে কেউ কেউ আগের মতো চাকরি-বাকরি করে থাকে। সাহাপাড়ার লোকেরা সেই আদিকাল থেকেই বিভিন্ন পণ্যের ক্ষুদ্র মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসা করে অভ্যস্ত। তারা পাট, ধান, চাল বা কাপড়ের ব্যবসা করতেন। আশিষ গুপ্তের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, এক বাঙালি উদ্যোক্তা বলেন, ‘আমরা বাঙালিরা আমাদের সন্তানদের আমাদের চিন্তা-চেতনায় বেড়ে ওঠা দেখতে পছন্দ করি’। যদিও অনেক বাবা তার সন্তানকে নিজ পেশায় দেখতে চান না। এমনকি বাবার চেয়ে ছেলে বড় হবে, এটাই ছিল তাদের আকাক্সক্ষা তবে সেটা বাবার চিন্তা বা ইচ্ছা অনুযায়ী। রণদার বাবা তো তখন বেঁচেই ছিলেন না।

এসব কারণেই রণদা প্রসাদ সাহার ব্যবসায় উদ্যোগ গ্রহণ করতে গিয়ে কোনো সাংস্কৃতিক আড়ষ্টতা বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। অবশ্য রণদা প্রসাদ সাহা শিক্ষিত বা গঠিত গ্রাম পরিবারের সন্তান ছিলেন না। বাবা কিংবা শ্বশুরবাড়ির সংসারে এমন কোনো পরিস্থিতিও ছিল না যে, রণদা ভিন্ন কোনো পেশায় যাবে। তাছাড়া রণদা তো ছোট থেকেই নিজের ভাগ্যনুসন্ধানে নিজেই বেরিয়ে পড়েছিলেন। তাই কোনো সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিবন্ধকতা তাকে প্রভাবিত করেনি।

 

গবেষক, শেয়ার বিজ

mshelleyjuÑgmail.com

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০