শেয়ার বিজ ডেস্ক: বাণিজ্যিক উড়োজাহাজের জন্য ইতিহাসে সবচেয়ে নিরাপদ বছর ছিল ২০১৭ সাল। গত বছর বিশ্বের কোথাও যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের মারাত্মক বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেনি। নেদারল্যান্ডসভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান টু-৭০ ও অ্যাভিয়েশন সেফটি নেটওয়ার্ক (এএসএন) ফান্ড কর্তৃক পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর বিবিসি।
যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের জন্য নিরাপদ বছর হলেও গত বছর কোনো দুর্ঘটনাই ঘটেনি এমন নয়। মারাত্মক কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলেও ছোট ছোট দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এএসএনের প্রতিবেদনমতে, গত বছর ১০ জীবননাশক দুর্ঘটনা ঘটেছিল। এতে মৃত্যু হয়েছে ৭৯ জনের। ২০১৬ সালে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটেছিল ১৬টি। এতে মৃত্যু হয়েছিল ৩০৩ জনের।
প্রতিষ্ঠানটি অন্তত ১৪ যাত্রী বহন করে এমন উড়োজাহাজ নিয়ে জরিপ করেছে। গত বছর সবচেয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে জানুয়ারিতে। তুরস্কের কার্গো উড়োজাহাজ কিরগিজস্তানের একটি গ্রামে বিপর্যয় ঘটলে চার ক্রুসহ ৩৫ যাত্রী নিহত হন এবং ওয়েস্টার্ন কোস্টারিকায় ক্যারাভান উড়োজাহাজ ধ্বংসে ১২ যাত্রী ও ক্রু নিহত হন।
এছাড়া সামরিক বিমান বা হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা এ জরিপের বাইরে ছিল। গত জুনে বার্মিজ ওয়াই-৮ সামরিক পরিবহন উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ১২২ জনের প্রাণহানি ঘটে। এছাড়া ছোট অনেক উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
তবে এসব দুর্ঘটনা আগের তুলনায় অনেক কম। গত দুই দশক ধরে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার অনেক কমে এসেছে। ২০০৫ সালে বিশ্বব্যাপী যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় প্রায় এক হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
২০১৬ সালের নভেম্বরে সর্বশেষ যাত্রীবাহী বড় দুর্ঘটনাটি ঘটে মিসরে। এতে শতাধিক যাত্রীর প্রাণহানি ঘটেছে। অনুপাত হিসেবে প্রতি ৭৩ লাখ ৬০ হাজার ফ্লাইটে একটি ফ্লাইট দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এএসএনের প্রেসিডেন্ট হ্যারো রানটার বলেন, ১৯৯৭ সালের পর থেকে ফ্লাইটের সঙ্গে দুর্ঘটনার হার কমে আসছে। অ্যাভিয়েশন সংস্থাগুলো এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখছে।
টু৭০-এর প্রতিবেদনমতে, বর্তমানে প্রত্যেক ১৬ মিলিয়ন ফ্লাইটে একটি দুর্ঘটনার শিকার হয়। যদিও কোস্টারিকা দুর্ঘটনার আগেই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সাল ছিল যাত্রী পরিবহন উড়োজাহাজের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ বছর। তবে এখনও অনেক ঝুঁকি আছে এ খাতে।
রানটার বলেন, এ শিল্পের প্রধান ঝুঁকিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারিতে আগুনের ঝুঁকি, মানসিক অবসাদ ও স্বাস্থ্য ইস্যু।