নিজস্ব প্রতিবেদক: শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে দুইজন ডেপুটি গভর্নর ছাড়া চলছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নিয়োগের লক্ষ্যে চার সদস্যের একটি সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে। শোনা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিবার্হী পরিচালক (ইডি) ও বাণিজ্যিক ব্যাংকের কয়েকজন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ( এমডি) ডেপুটি গভর্নর হতে দৌঁড়ঝাপ শুরু করছে।
জানা যায়, শীর্ষ স্থানীয় বেসরকারি একটি ব্যাংকের বর্তমানে দায়িত্বে থাকা একজন এমডি ও সাবেক একজন এমডি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর হওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় লবিং করছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্যাংক বা নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাউকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নিয়োগ দেয়া হলে তা স্বার্থের সঙ্গাত সৃষ্টি হতে পারে। কারণ তারা তার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা গ্রুপকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি হতে পারে। তাই ব্যাংক বা নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের ডেপুটি গভর্নর নিয়োগ প্রদান উচিত হবে না বলে জানান তারা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, ব্যাংক বা নন- ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছাড়াও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ কোনো কর্মকর্তাকে ডেপুটি গভর্নর পদে নিয়োগ প্রদানের ক্ষেত্রে সচ্ছ ব্যক্তি হওয়া উচিত। যার কোনো গ্রুপের প্রতি স্বার্থ থাকবে না।
এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা চাচ্ছেন তাদের ভেতর থেকেই ডেপুটি গভর্নর পদে নিয়োগ হোক। সম্প্রতি এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা একটি সংবাদ সম্মেলনও করেন।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চারজন ডেপুটি গভর্নর রয়েছেন। তবে গত ৭ আগস্ট ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তা কর্মচারী গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর, উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধানের পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভ করেন। তাঁদের মধ্যে পদত্যাগের বিষয়ে ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমানের কাছ থেকে সাদা কাগজে সই নেওয়া হয়।
এরপর গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার সরকারের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কার্যত নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়ে।
জানা গেছে, ডেপুটি গভর্নর নিয়োগের জন্য ইতিমধ্যে ছয় জনের একটি তালিকা তৈরি করেছে সার্চ কমিটি। আজ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের কাছে তা হস্তান্তর করা হয়েছে।