শেয়ার বিজ ডেস্ক: বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চীনের সঙ্গে বাণিজ্য বিবাদ আগে থেকেই। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দীর্ঘদিনের মিত্র ইউরোপ ও কানাডার সঙ্গে বাণিজ্য বিবাদে জড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, বাণিজ্য ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সম্ভবত চীনের মতোই খারাপ, হয়তো একটু কম। খবর এএফপি।
সানডে মর্নিং ফিউচার নামের এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, ‘তারা (ইইউ) যুক্তরাষ্ট্রে মার্সিডিজ পাঠাচ্ছে, আমরা আমাদের গাড়ি পাঠাতে পারছি না। আমাদের কৃষকদের সঙ্গে তারা কী করছে দেখেন। তারা আমাদের প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন চায় না। তাদের কৃষকদের অধিকারে তারা সচেতন… কিন্তু আমরা আমাদের সুরক্ষা দিতে পারছি না, তারা ঠিকই তাদের সুরক্ষা দিচ্ছে।’
ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া শুল্কের প্রতিক্রিয়ায় গত মাসে হুইস্কি, মোটরসাইকেল, জুতা, কয়েক ধরনের কাপড়, ওয়াশিং মেশিন ও কমলার রসসহ বেশকিছু পণ্যে ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক বসিয়েছে ইইউ। জোটের ২৮টি দেশে যুক্তরাষ্ট্রের রফতানি করা প্রায় ৩২০ কোটি মূল্যের পণ্য থেকে এ শুল্ক নেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে ইউরোপ। এর প্রতিক্রিয়ায় ইতোমধ্যে ইইউর গাড়িতে অতিরিক্ত শুল্কারোপের হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।
তিনি বলেছেন, ‘এ শুল্ক তুলে নেওয়া না হলে যুক্তরাষ্ট্রে আসা ইউরোপের সব ধরনের গাড়িতে ২০ শতাংশ শুল্ক বসাবো।’ ইইউ থেকে আমদানি করা ব্যক্তিগত গাড়ির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রে এখনই আড়াই শতাংশ শুল্ক দিতে হয়; পিকআপ ট্রাকের ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ। বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের গাড়িতে ইইউর আরোপ করা শুল্কের পরিমাণ মাত্র ১০ শতাংশ।
এদিকে ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামে পণ্য আমাদিনতে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপের পাল্টা হিসেবে ১২ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন পণ্যেও শুল্কারোপ করেছে কানাডা। গত ১ জুলাই থেকে তা কার্যকরও হয়েছে।
গত মার্চে ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানিতে ২৫ ও ১০ শতাংশ শুল্কারোপ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রথমে প্রতিবেশী মেক্সিকো ও কানাডা এবং ইউরোপকে এ শুল্ক থেকে ছাড়া দিলেও এক মাস পরে তাদের ওপর শুল্ক চাপিয়ে দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
অভ্যন্তরীণ শিল্পের সুরক্ষা ও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য দেশের ভেতরেই আরও চাকরির সুযোগ বাড়াতে বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যে শুল্ক বসানোর পরিকল্পনা নেন ট্রাম্প। এরই মধ্যে চীন থেকে আমদানি করা বাৎসরিক সাড়ে ৪০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যে বসেছে নতুন শুল্ক। পাল্টা পদক্ষেপে হাজারের ওপর মার্কিন পণ্যে শুল্ক দিয়েছে বেইজিংও।