নিজস্ব প্রতিবেদক: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। বিনিয়োগের ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে মার্কিন বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। এগুলোয় তারা বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন।
গতকাল সচিবালয়ে সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল এশিয়ার সহকারী ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেনটিভ ক্রিস্টোফার উইলসনের নেতৃত্বে বাংলাদেশে সফররত প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কৃষিপণ্য সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণ শিল্প খাতে বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশে যে কোনো পণ্য কম খরচে উৎপাদন করে রপ্তানি করার সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীদের সুবিধার জন্য সরকার বিনিয়োগবান্ধব নীতি গ্রহণ করেছে। বিনিয়োগকারীরা শিল্পে শতভাগ বিনিয়োগ করতে পারবেন। ট্যাক্সের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা প্রয়োজনে মূলধনসহ মুনাফা ফিরিয়ে নিতে পারবেন। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সরকার অনেক শর্ত শিথিল করেছে।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ক্ষেত্রে কাস্টমস প্রসেস ও ট্যাক্স সহজ এবং ব্যবসাবান্ধব ট্রেড পলিসি চায় যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের কারখানাগুলো ইতোমধ্যে কমপ্লায়েন্স হয়েছে। শ্রম আইন সংশোধন করে সময়োপযোগী করা হয়েছে। আমদানি-রপ্তানির সুবিধার জন্য পোর্টগুলো উন্নত করা হয়েছে। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে উভয় দেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করে আগামীকাল অনুষ্ঠেয় ‘টিকফা’ বৈঠকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
সহকারী ইউএস রিপ্রেজেনটেটিভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। বাণিজ্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এজন্য বাংলাদেশের কাস্টমস প্রসেস, ট্যাক্স, ই-কমার্স ইত্যাদি বিষয় আরও সহজ হওয়া প্রয়োজন।
বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর হলে বাণিজ্য সহজ হবে। বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বেশ চাহিদা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের তুলা বাংলাদেশে রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা প্রদানসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আগামী টিকফা বৈঠকে আলোচনার সুযোগ রয়েছে। প্রজেনটেটিভ প্রতিনিধিদলে ছিলেনÑঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার, পলিটিক্যাল অ্যান্ড কমার্শিয়াল কাউন্সিলর ব্রেন্ট ক্রিসটেনসেন, ডেপুটি ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেনটেটিভ ফর সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল এশিয়া জেবা রিয়াজউদ্দিন, ভারতের ইউএস দূতাবাসের বাণিজ্য বিভাগের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি সিনিয়র কমার্শিয়াল অফিসার গ্রিজোরি টেভস। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. ওবায়দুল আজম, অতিরিক্ত সচিব ও ডব্লিউটিও’র মহাপরিচালক মো. কামাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সচিবালয়ে নেপালের শিল্প, বাণিজ্য ও সাপলাইসবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. বাইকুনথা আয়ালের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।