নিজস্ব প্রতিবেদক: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আলজেরিয়া বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য ১৯৭৩ সালে উভয় দেশের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল। বাংলাদেশ আলজেরিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। উভয় দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) অথবা অগ্রাধিকারভিত্তিক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) সই করা হবে। একই সঙ্গে ১৯৭৩ সালে সম্পাদিত চুক্তির কোনো বিষয় প্রয়োজন হলে সংশোধন করা হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সরকারি বাসভবনের অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত রাবাহ লারবির সঙ্গে জুম প্ল্যাটফর্ম বৈঠকে এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ রপ্তানি বাণিজ্যে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানিতে পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। আলজেরিয়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, পাট ও চামড়া জাত পণ্য, তামাক এবং ফার্নিচারের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ এগুলো আলজেরিয়ায় রপ্তানি বৃদ্ধি করতে চায়। উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের সফর বিনিময়ের মাধ্যমে রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব। কভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতি হলে উভয় দেশের মধ্যে সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এ সময় রাষ্ট্রদূত রাবাহ লারবি বলেন, আলজেরিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। উভয় দেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য ১৯৭৩ সালে একটি চুক্তি হয়েছিল। এ মুহূর্তে উভয় দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ খুবই কম। বাণিজ্য বাড়াতে বাংলাদেশের সঙ্গে এফটিএ অথবা পিটিএ করতে প্রস্তুত আলজেরিয়া। উভয় দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, আলজেরিয়ায় বাংলাদেশের বেশকিছু পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়ে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সবকিছু করতে চায় আলজেরিয়া।
উল্লেখ্য, গত অর্থবছরে আলজেরিয়ায় রপ্তানি হয়েছে পাঁচ দশমিক ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের বাংলাদেশি পণ্য এবং একই সময়ে আমদানি হয়েছে ৯০ দশমিক ৭৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। বাণিজ্যমন্ত্রী আলজেরিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
এ সময় বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।