প্রতিনিধি, বান্দরবান: বান্দরবানে কয়েক দিনের টানা বর্ষণে বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসে পড়েছে। অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে ছোটবড় পাহাড় ধসে সড়কে মাটি জমে বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে পাহাড়ের সড়কগুলো। অব্যাহত ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসে প্রাণহানির শঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণ বসতিগুলো ছেড়ে লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। মাতামুহুরি নদীর পানি বেড়েছে। গতকাল শনিবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১২০ মিলি মিটার।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবাস আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সনাতন মণ্ডল বলেন, আবহাওয়ার পূর্বাভাস মতে আগামী আরও কয়েকদিন বৃষ্টিপাত হবে। অবিরাম বর্ষণে পাহাড় ধসে প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টরা জানায়, গত বৃহস্পতিবার থেকে জেলার সাতটি উপজেলায় থেমে থেমে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলার সাতটি উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নে ২০৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এদিকে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় রুমা, থানচি, লামা-সূয়ালক, রোয়াংছড়ি-রুমা, থানচি-আলীকদমসহ অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোর বিভিন্ন স্থানে ছোটখাটো পাহাড় ধসে সড়কে কাদামাটি জমে সড়কগুলো পিচ্ছিল বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে।
পরিবহন শ্রমিক নেতা জাফর আলম বলেন, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে ছোটবড় পাহাড় ধসে পড়েছে। রোয়াংছড়ি সড়কের ময়নাতলী এলাকায় বৃষ্টিতে বিদ্যুতের খুঁটি, গাছপালা ভেঙে পড়েছে। কয়েক ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকার পর ফায়ার সার্ভিসের লোকজন সড়ক থেকে ভেঙে পড়া জিনিস সরিয়ে নিলে ফের যানবাহন চলাচল শুরু হয়। এ বিষয়ে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, তিনদিন ধরেই জেলায় প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পাহাড় ধসে প্রাণহানির আশঙ্কায় পাহাড়ের পাদদেশে ও ঝুঁকিপূর্ণ বসতিগুলো ছেড়ে লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ ও ফায়ার সার্ভিস রেডক্রিসেন্টের লোকজন কাজ করছে। দ–র্যোগ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে প্রশাসনের।