প্রাচীন বাংলায় অনেক সুফি-সাধকের আগমন ঘটেছে ইসলাম প্রচারে উদ্দেশ্যে। তাদের মধ্যে হজরত বাবা আদম অন্যতম। ১৪৮৩ সালে সুলতান ফাতাহ শাহের আমলে মালিক কফুর শহীদ সুফি হজরত বাবা আদমের নামে এ মসজিদটি নির্মাণ করেন।
বাবা আদম জামে মসজিদটি মুন্সীগঞ্জ সদরের রিকাবিবাজার পৌরসভাধীন কাজী কসবা গ্রামে অবস্থিত। মুন্সীগঞ্জ শহর থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। প্রতœতাত্ত্বিক সৌন্দর্যে ভরপুর কালের অপূর্ব নিদর্শন হয়ে দ্বীনের পথে যেন আহ্বান করছে মসজিদটি।
ছয় গুম্বুজবিশিষ্ট ইটের তৈরি মসজিদটি সুলতানি আমলের স্থাপত্যশৈলী ও বৈশিষ্ট্য বহন করছে। মসজিদের ভেতরের পিলার বা স্তম্ভগুলো কালো পাথরের ও নকশাখচিত।
দীর্ঘদিন মসজিদের দেয়ালে আস্তরণ ছিল না। সম্প্রতি এলাকাবাসীর উদ্যোগে নতুন করে মসজিদের দেয়ালে আস্তরণ দেওয়ার কাজ চলছে। প্রতœতত্ত্ব বিভাগের তত্ত্বাবধানে রয়েছে এই মসজিদটি।
মসজিদটির ধরন অনেকটা সাতগাঁও মসজিদের (১৫২৯) মতো। এই মসজিদটির সামনের অংশটির মিল পাওয়া যায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর মসজিদের সঙ্গে। এর দেয়ালের পুরুত্ব দুই মিটার।
মসজিদের পাশে রয়েছে হজরত বাবা আদমের মাজার। তিনি ১১৭৩ সালে বিক্রমপুর তথা মুন্সীগঞ্জে ইসলাম ধর্ম প্রচার করতে এসেছিলেন। মারা যান ১১৭৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর। তখন সেনরা বাংলা শাসন করত।
প্রাচীন বাংলার রাজধানী ছিল বিক্রমপুর। পাল ও সেনদের রাজধানী ছিল বিক্রমপুর পরগনার মুন্সীগঞ্জ সদরের রামপালে। রামপালের পাশের গ্রাম কাজী কসবা। এখানে বাবা আদম আস্তানা করেন ধর্ম প্রচারের জন্য।
শেখ মোহাম্মদ রতন, মুন্সীগঞ্জ