নিজস্ব প্রতিবেদক: দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান বায়োনিয়ার করপোরেশনের সঙ্গে মোলিকুলার ডায়াগনস্টিক কিট সরবরাহের একটি চুক্তি করছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এএফসি এগ্রো বায়োটেক লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, হেপাটাইটিস বি ভাইরাস, হেপাটাইটিস সি ভাইরাস, এইচপিভি, এইচল্যাব২৭, টিবি, এসটিআই, জিআই, ট্রান্সপ্লান্ট সম্পর্কিত ভাইরাস প্রভৃতি শনাক্তকরণের জন্য ডায়াগনস্টিক কিট সরবরাহের চুক্তি করেছে। এই চুক্তির অধীনে বাংলাদেশ এবং এশিয়ান দেশগুলোতে বায়োনিয়ারের ডায়াগনস্টিক কিট উৎপাদন, রিফিল এবং বিতরণ করবে। এই কিটগুলো বিভিন্ন সংক্রামক রোগ নির্ণয় করতে ব্যবহার করা হবে, যা কিনা বর্তমানে নির্ণয় করা ব্যয়বহুল বা কঠিন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘বি’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানিটি। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৩০০ কোটি টাকা আর পরিশোধিত মূলধন ১১৫ কোটি ২১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৯৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১১ কোটি ৫২ লাখ ১৬ হাজার ২০০ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ২৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৩৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৬ দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে শুধু সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২২ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ১৯ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৫৯ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে শুধু সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৫ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১৭ পয়সা।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ২৩ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২৩ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৩ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে। আর দিনভর কোম্পানিটির মোট ২ হাজার ৮০ শেয়ার ৫ বার হাতবদল হয় যার বাজারদর ৫০ হাজার টাকা।
২০২২-২৩ হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৩) সমতা লেদার কমপ্লেক্স লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) অপরিবর্তিত থাকলেও প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০২২-মার্চ, ২০২৩) শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গেছে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৩) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫ পয়সা। অর্থাৎ তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় চার পয়সা কমেছে। অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০২২-মার্চ, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৩৯ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম তিন প্রান্তিকের হিসাবে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় ২২ পয়সা কমেছে। অন্যদিকে ২০২৩ সালের ৩১ মার্চে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৩৩ পয়সা। আর প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ৩৬ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৯০ পয়সা (ঘাটতি)।