শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন দ্বীপ বালিতে ৪ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। আকস্মিক এ দুর্যোগে তিন বছরের এক মেয়েশিশুসহ ৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও সাতজন। খবর: বিবিসি, রয়টার্স।
দেশটির অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী সংস্থা জানিয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার ভোরের দিকে ঘটে যাওয়া এ ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দ্বীপটির পূর্বাঞ্চলীয় জেলা কারাঙ্গাসেম ও বাংলি।
ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বালির পার্শ্ববর্তী দ্বীপ লোম্বকেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে শুধু পূর্বাংশ ব্যতীত বালির অন্য কোনো অংশ তার কোনো আঁচ পাওয়া যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ভূতাত্ত্বিক সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে।
ইন্দোনেশিয়ার অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী সংস্থার দেয়া তথ্য বলছে, মৃত ৩ জনের মধ্যে ২ জন মারা গেছেন ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট ধসে। আর ৩ বছরের শিশুটি মারা গেছে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে।
ভূমিকম্পে মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে উদ্ধারকারী সংস্থার মুখপাত্র গেদে দারমাদা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বালির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ এ-বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ করছে।
বিবৃতিতে তিনি আরও কলেন, উপদ্রুত এলাকা থেকে ইতোমধ্যে সবাইকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়েছে।
কারাঙ্গাসেমের বুঙ্গা গ্রামের প্রধান কেরতাওয়া বলেন, সেখানকার প্রায় ৬০ শতাংশ বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বালি দ্বীপে ৪০ লাখের বেশি মানুষের বসবাস।
এক বছরের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর গত বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের জন্য দুয়ার খুলে দিয়েছে বালি। করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ ছিল।
এর আগে গত জানুয়ারিতে ৬ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে ১০৫ জন নিহত এবং আরও সাড়ে ৬ হাজার মানুষ আহত হয়। পশ্চিম সুলাওয়েশি প্রদেশের মামুজু এবং মাজেনা জেলায় ভূমিকম্প আঘাত হানায় ৯২ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়ে।