প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে অবৈধ বালুর ঘাট দখলকে নেয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, গুলি ও ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় দুই গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের বাগানবাড়ি এলাকায় নিকরাইল ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাসুদুল হক মাসুদ ও একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন সরকারের লোকজনের সাথে এই সংঘর্ষ বাঁধে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার নিকরাইলে প্রায় ২০টি অবৈধ বালুর ঘাট রয়েছে। এসব ঘাটের বালু ট্রাকযোগে দেশের বিভিন্নপ্রান্তে যায়। শুকনো মৌসুমে যমুনা নদী শুকিয়ে চর জেগে উঠলে শুরু হয় নদীর পাড় কেটে বিক্রি। বুধবার দুপুরে উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল হক মাসুদ এবং সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মতিন সরকারের লোকজনের সাথে ভিট বালুর ঘাটের রাস্তা নির্মাণ ও দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এতে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সময় ককটেল বিষ্ফোরণ ও গুলির ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে দুইপক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে ৭ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে দুইপক্ষের অন্তত ১০জন আহত হয়।
আহত শহিদুল ইসলাম বলেন, যমুনার নদীর বাগানবাড়ি এলাকায় অন্যের জমির ওপর দিয়ে ভিট বালুর ঘাটের রাস্তা তৈরি ও দখল করছিলো ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের লোকজন। এসময় তাদের বাঁধা দিতে গেলে হামলা চালায়। এসময় তাদের ছোঁড়া পাথরের আঘাতে আমার পায়ের হাড় ভেঙে গেলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।
নিকরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন সরকার বলেন, চেয়ারম্যান মাসুদুল হক মাসুদ ও নুহু মেম্বারের লোকজন বালুর ঘাট দখল করে মাটি তোলার যন্ত্র (ভেকু) ও ক্যাশ কাউন্টার ভাঙচুর করে লুটপাট করে। এসময় তারা ককটেল ও গুলি ছুঁড়ে। এতে ঘাটে থাকা ৮জন আহত হয়েছে।

নিকরাইল ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাসুদুল হক মাসুদ বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির লোকজন অন্যেদের জমি দখল করে ঘাট তৈরি করছিল। এসময় বাঁধা দিতে গেলে লোকজনের ওপর আক্রমণ করা হয়। এতে ১০জন আহত হয়েছে।
ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল ওহাব জানান, বালুর ঘাট দখল নেয়াকে কেন্দ্র করে সাবেক চেয়ারম্যান ও নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৭ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।