প্রতিনিধি, বগুড়া: বালুর ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জের ধরেই বগুড়ায় পিকনিক অনুষ্ঠানে কুইন ওরফে তুহিন (২৪) নামের যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার ঠিক দুই বছর আগেও কুইনকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) বগুড়ার ডিবি পুলিশের ইনচার্জ সাইহান ওলিউল্লাহ এতথ্য জানিয়েছেন। এদিকে কুইন হত্যার ঘটনায় আলাল শেখ (৩৫) নামের এক যুবককে শহরের চকসুত্রাপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত আলাল শেখ শহরের চকসুত্রাপুর এলাকার মৃত মেরু শেখের ছেলে। তিনি পেশায় মাংস ব্যবসায়ী এবং শহরের ফতেহ আলী কাঁচাবাজার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক। আলাল শেখ যুবলীগ নেতা ফিরোজ হত্যা মামলারও আসামী।
গত ১২ ফেব্রুয়ারী রাত ১১ টার দিকে শহরের নিশিন্দার খাঁপাড়ায় পিকনিকের অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে কুইনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এসময় তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে রহীম ও ঝন্টু নামের আরো ২ জন গুরুতর আহত হন। এঘটনায় নিহত কুইনের বাবা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে রোববার রাতে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জনের নামে সদর থানায় মামলা করেন। মামলাটি থানায় রেকর্ড হওয়ার পর পরই পুলিশ সুপারের নির্দেশে ডিবি পুলিশে স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে স্থানীয় অনুসন্ধানে জানা গোছে এলাকায় বালুর ব্যবসাকে কেন্দ্র করে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জের ধরে কুইনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। কুইন এলাকায় বালুর ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল। বালুর ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দুই বছর আগে থেকে নিশিন্দারা এলাকায় আরেকটি গ্রুপের বিরোধ চলছিল। ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারী কুইনকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামীরাই দুই বছর পর একই তারিখে কুইনকে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
মামলার বাদী কুইনের বাবা শহিদুল্লাহ বলেন, ২০২০ সালে তার ছেলেক কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামী আরাফাত জামিনে আসার পর থেকেই মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছিল।
সম্প্রতি আরাফাতের সাথে যোগ দেয় আলাল। মামলা তুলে না নিলে হত্যার হুমকীও দেয়া হচ্ছিল তার ছেলেকে।
বগুড়া ডিবি পুলিশের ইনচার্জ সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন মামলার ৩ নং আসামী আলালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।