শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড রাজ্যের বাল্টিমোরে ফ্রান্সিস স্কট কি ব্রিজ পুনর্নির্মাণে ৬০ মিলিয়ন বা ছয় কোটি ডলার দেয়া হবে। সেতুটি ধসে পড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন বিভাগের হাইওয়ে ডিভিশন ম্যারিল্যান্ডকে জরুরি ত্রাণ হিসেবে এই অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে। খবর: রয়টার্স।
ম্যারিল্যান্ডের গভর্নর ওয়েস মুর তহবিল চাওয়ার পরপর সরকার এই অর্থায়ন বরাদ্দ করে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই অর্থ সফল অপারেশন ও ধ্বংসাবশেষ অপসারণ এবং দ্রুত পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু করতে সহায়তা করবে।
বল্টিমোরে গত মঙ্গলবার ভোরে ১ দশমিক ৬ মাইল দীর্ঘ ফ্রান্সিস স্কট কি’র একটি সাপোর্ট পিলারে একটি জাহাজ ধাক্কা দেয়ার পর সেতুটি ভেঙে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে সেতুটির একটি অংশ বরফশীতল পানিতে ভেঙে পড়ে। এতে সেতুতে থাকা গাড়ি ও মানুষ নদীতে পড়ে যায়।
ইউটিউবে প্রকাশিত একটি লাইভ ভিডিওতে দেখা যায়, অন্ধকারে সেতুটির সঙ্গে একটি জাহাজের সংঘর্ষ হচ্ছে। জাহাজটি সেতুর পিলারে আঘাত করার পরপর এর বিশাল স্প্যানগুলো ভেঙে পাটাপস্কো নদীতে পড়ে যেতে থাকে এবং জাহাজটিতে সংঘর্ষের সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়।
সেতুর মাঝখানে স্প্যানের কাছে পানিতে একটি লাল রঙের পিকআপ ট্রাক থেকে দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে মেরিল্যান্ড স্টেট পুলিশ। নিহতরা হলেন বল্টিমোরের বাসিন্দা আলেজান্দ্রো হার্নান্দেজ ফুয়েন্তেস (৩৫) ও গুয়াতেমালার বাসিন্দা ডরলিয়ান রোনিয়াল কাস্তিলো ক্যাবেরা (২৬)। তারা দুজনই নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। একজনের পকেটে থাকা ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং অন্যজনকে আঙুলের ছাপ দিয়ে শনাক্ত করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেতু ধসে ছয় নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ধসের পর হাসপাতালে ভর্তি বেঁচে যাওয়া একজনকে বুধবার সকালে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর আগে মেক্সিকোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিল, দুর্ঘটনায় তাদের দুই নাগরিক মারা গিয়ে থাকতে পারেন। পরে তাদের একজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। আর অপরজন আলোজান্দ্রো হার্নান্দেজ ফুয়েন্টেস।
এদিকে দুর্ঘটনার পর পণ্যবাহী জাহাজটি এখন পর্যন্ত নিরাপদ অবস্থায় রয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানান। তবে এটিতে ১৫ লাখ গ্যালনের বেশি জ্বালানি তেল ও লুব অয়েল রয়েছে। এছাড়া পণ্যবোঝাই প্রায় চার হাজার ৭০০ কনটেইনার রয়েছে এটিতে। এসব কনটেইনারের ৫৬টিতে রয়েছে বিপজ্জনক উপকরণ।