মো. আরাফাত রহমান: বাল্যবিয়ে হলো অপ্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির আনুষ্ঠানিক অথবা অনানুষ্ঠানিক বিয়ে। আইনত বিয়ের বয়স ১৮ বছর, বিশেষত মেয়েদের ক্ষেত্রে। কিন্তু বিশেষ ক্ষেত্রে অভিভাবকের অনুমতি সাপেক্ষে এই বয়সের আগেও বিয়ের অনুমতি দেওয়া হয়। যদিও আইন অনুযায়ী বিয়ের বয়স ১৮ বছর, তার পরও কিছু দেশে নিজস্ব প্রথাকেই আইনের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। বাল্যবিয়েতে মেয়ে ও ছেলে উভয়ের ওপরই প্রভাব পড়ে। তবে মেয়েরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বিশেষত নিম্ন আর্থসামাজিক পরিস্থিতির কারণে। বেশিরভাগ বাল্যবিয়েতে দুজনের মধ্যে শুধু একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকে। বিশেষত মেয়েরাই বাল্যবিয়ের শিকার বেশি হয়। বাল্যবিয়ের কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রধানতÑদরিদ্রতা, যৌতুক, সামাজিক প্রথা, বাল্যবিয়ে সমর্থনকারী আইন, ধর্মীয় ও সামাজিক চাপ, অঞ্চলভিত্তিক রীতি, অবিবাহিত থাকার শঙ্কা, নিরক্ষরতা এবং মেয়েদের উপার্জনে অক্ষম ভাবা।
যেসব কারণ বাল্যবিয়ের জন্য দায়ী তার মধ্যে অন্যতম যৌতুক। বিয়ের সময় মেয়েকে যৌতুক দেওয়ার প্রথা অনেক প্রাচীন কাল থেকে চলে আসছে, যা এখনও বিশ্বের কিছু কিছু জায়গায় প্রচলিত আছে। এ প্রথায় মেয়ের বিয়েতে অভিভাবক সম্পত্তি দান করে, যা বেশিরভাগ পরিবারের জন্য অর্থনৈতিক হুমকিস্বরূপ। যৌতুকের জন্য সম্পদ জমানো ও সংরক্ষণ করার যে প্রতিবন্ধকতা, তা সাধারণ ব্যাপার। এ কারণে মেয়ের পরিবার কিছু নগদ অর্থ বা জমিজমা জোগাড় করার সঙ্গে সঙ্গেই মেয়ের বয়স বিবেচনা না করেই বিয়ে দিতে তৎপর হয়। মেয়েদের ক্ষেত্রেও যৌতুক দেওয়ার রীতি প্রচলিত আছে। তবে তাকে কনের মূল্য বা পণ নির্ধারণ বলা হয়। এই রীতিতে বর কনের পরিবারকে বিয়েতে রাজি করানোর জন্য পণের টাকা দিয়ে থাকে। কিছু দেশে কনের বয়স যত কম হয়, তার ওপর নির্ধারিত পণের মূল্য তত বেশি হয়। এই রীতির কারণে মেয়ের পরিবার মেয়েকে তাড়াতাড়ি এবং সর্বোচ্চ পণ নির্ধারণকারীর কাছেই বিয়ে দিতে উদ্যত হয়। দুর্বল অর্থনীতিতে এভাবেই পরিবার আয়ের উৎস অনুসন্ধান করে।
সামাজিক বিপর্যয়, যেমন যুদ্ধ, সামরিক অভিযান, বলপূর্বক ধর্মান্তর, স্থানীয়দের যুদ্ধবন্দি করা ও তাদের দাসে পরিণত করা, গ্রেপ্তার ও জোরপূর্বক দেশান্তর করাÑএসব কারণে উপযুক্ত বর পাওয়া দুষ্কর। ঘটনা আয়ত্তের বাইরে যাওয়ার আগেই মেয়ের পরিবার যেকোনো গ্রহণযোগ্য পাত্র পেলে মেয়ের বিয়ের ব্যাপারে তৎপর হয়। নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন ও কিছু গবেষকের দাবি অনুযায়ী, ভারতবর্ষে বাল্যবিয়ের উৎপত্তি এক হাজার বছরের আগে থেকে, যখন মুসলিমরা ভারত আক্রমণ করে। আক্রমণকারীরা কুমারী হিন্দু মেয়েদের ধর্ষণ করত বা তাদের লুট করে নিয়ে যেত, যার ফলে হিন্দু সম্প্রদায় তাদের কন্যাসন্তানদের রক্ষা করার জন্য কম বয়সে বিয়ে দিত।
সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা বিশ্বজুড়ে বাল্যবিয়ের অন্যতম কারণ। অন্যান্য অপরাধ সংগঠিত হওয়ার আশঙ্কা, যেমন ধর্ষণ শুধু একটা মেয়ের জন্য বিপর্যয়করই নয়, বরং সমাজে তার গ্রহণযোগ্যতাও কমিয়ে দেয়। যেমন মেয়েদের বিয়ের যোগ্য ভাবা হয় না যদি না তারা কুমারী হয়। কিছু প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী ধারণা করা হয়, অবিবাহিত নারী কোনো নিষিদ্ধ সম্পর্কে জড়াতে পারে, বা গোপনে পালিয়ে যেতে পারে, যা পরিবারের জন্য লজ্জাজনক, অথবা দরিদ্র পরিবার নিজস্ব আর্থ-সামাজিক গোষ্ঠীর ভেতর তাদের প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের জন্য উপযুক্ত পাত্র খুঁজে নাও পেতে পারে। এসব ভয় ও সামাজিক চাপের কারণে বাল্যবিয়ে বেশি হয়ে থাকে। অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের কাছে মেয়ে আর্থিকভাবে বোঝাস্বরূপ, যার কারণে কম বয়সে বিয়ে দেওয়া হয় যাতে পরিবার ও মেয়ে উভয়ই লাভবান হতে পারে। দরিদ্র পরিবার মেয়েদের ভরণ-পোষণের ভার বহন করতে না পেরে বিয়েকেই তাদের আর্থিক সুরক্ষার একমাত্র উপায় বলে মনে করে। বিশেষজ্ঞরা অভিমত দেন, দারিদ্র্য, উপযুক্ত পাত্রের অভাব, অনিশ্চিত সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিÑএসব কারণে বাল্যবিয়ে বেশি হতো।
বাল্যবিয়ের প্রবণতা স্থানভেদে ভিন্ন হয়। বিশ্বব্যাপী শহরাঞ্চলের মেয়েদের তুলনায় গ্রামাঞ্চলের মেয়েদের বাল্যবিয়ের প্রবণতা প্রায় দ্বিগুণ। বাল্যবিয়ের প্রভাব মেয়েদের ওপর ব্যাপক, যা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরও থেকে যায়। কিশোরী বয়সে বা তারও আগে বিবাহিত নারীরা কম বয়সে গর্ভধারণ করার ফলে স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভোগে। কম বয়সে গর্ভধারণ সন্তান জন্মদানে জটিলতা সৃষ্টি করে। গরিব দেশগুলোয় অল্প বয়সে গর্ভধারণ শিক্ষার জন্য বাধা হয়ে দাঁড়ায়, যা তাদের অর্থনৈতিক মুক্তিকে বাধাগ্রস্ত করে। বাল্যবিয়ের শিকার নারীরা সাধারণত পারিবারিক সহিংসতা, যৌন নির্যাতন ও বৈবাহিক ধর্ষণের শিকার হয়। ছেলেদেরও কখনও কখনও অপরিণত বয়সে বিয়ে দেওয়া হয়। কিন্ত ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, তুলনামূলকভাবে মেয়েরা এর শিকার বেশি হয়। অপরিণত বয়সের ছেলেদের বিয়ের হার সামান্য। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরের হিসাব অনুযায়ী ১৫৬ মিলিয়ন ছেলে বাল্যবিয়ের শিকার। মেয়েদের ওপর বাল্যবিয়ের প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি, বিশেষত স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নের প্রেক্ষাপটে। এর প্রভাব কৈশোরের পর স্থায়ী হয়। উন্নয়নশীল বিশ্বে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সি নারী মৃত্যুর প্রধান কারণ গর্ভধারণ ও সন্তান প্রসব।
বাল্যবিয়ে মেয়েদের স্বাস্থ্য ও জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ। ১৫-১৯ বছর বয়সি গর্ভবতী নারীদের মাতৃমৃত্যুর আশঙ্কা ২০ বছর বয়সি গর্ভবতী নারীদের তুলনায় দ্বিগুণ। আর ১৫ বছরের কম বয়সি নারীদের ক্ষেত্রে মাতৃমৃত্যুর আশঙ্কা পাঁচ-সাত গুণ বেশি। যেসব নারী ১৫ বছরের আগে সন্তান জন্মদান করে তাদের ফিস্টুলা বিকশিত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৮৮ শতাংশ, যা বিভিন্ন সংক্রমণের অন্যতম কারণ। ২০ বছর বয়সি বিবাহিত নারীদের যৌন রোগে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। বাল্যবিয়ে শুধু মায়ের স্বাস্থ্যই নয়, শিশুর স্বাস্থ্যের জন্যও হুমকিস্বরূপ। ১৮ বছরের নিচে মেয়েদের অপরিণত সন্তান জন্মদান বা কম ওজনের সন্তান জন্মদানের সম্ভাবনা ৩৫-৫৫ শতাংশ। তাছাড়া শিশুমৃত্যুর হার ৬০ শতাংশ থাকে যখন মায়ের বয়স ১৮ বছরের নিচে হয়। যেসব নারী কম বয়সে শিশুর জন্ম দেয় ওইসব শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয় এবং শিশুর অপুষ্টিতে ভোগার আশঙ্কা বেশি থাকে। বাল্যবিয়ের প্রাদুর্ভাবের কারণে জনসংখ্যার হার বৃদ্ধি পায়।
বাল্যবিয়ে মেয়েদের শিক্ষাজীবনের ইতি ঘটায়, সাধারণত অনুন্নত দেশগুলোয়। একইভাবে নিরক্ষর মেয়েদের বাল্যবিয়ের হার বেশি। যেসব মেয়েদের শুধু প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে, তাদের ১৮ বছরের নিচে বিয়ে হওয়ার সম্ভাবনা মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রাপ্ত মেয়েদের তুলনায় দ্বিগুণ এবং একেবারে নিরক্ষর মেয়েদের ১৮ বছরের নিচে বিয়ের হওয়ার সম্ভাবনা মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রাপ্ত মেয়েদের তুলনায় তিনগুণ বেশি। পারিবারিক দায়িত্ব পালন ও সন্তান লালনপালনের জন্য বিয়ের পর বেশিরভাগ মেয়ের শিক্ষাজীবন ব্যাহত হয়। শিক্ষা ছাড়া মেয়ে ও নারীদের উপার্জনের সামান্য পথই খোলা থাকে। এ কারণে নারীদের ক্রমাগত দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করতে হয়, বিশেষত যদি তাদের স্বামী মারা যায়, বা তাদের বিয়েবিচ্ছেদ হয়। যেহেতু বাল্যবিয়ের ফলে মেয়েরা স্বামীর চেয়ে তুলনামূলকভাবে কম বয়সি হয়, তাই তারা কম বয়সে বিধবা হয় এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংকটে পড়ে।
অল্প বয়সে কম শিক্ষিত বিবাহিত মেয়েদের ওপর পারিবারিক সহিংসতার হার বেশি। বিয়ের পর সাধারণত স্বামীর পরিবারে থাকার কারণে গ্রাম বা অন্য এলাকায় চলে যেতে হয়। এর ফলে শিক্ষাজীবনেরও ইতি ঘটে, আবার নিজ পরিবার ও বন্ধুবান্ধব থেকে দূরে যাওয়ার ফলে তারা সামাজিক সমর্থনও হারায়। মেয়ে অল্প বয়সি হওয়ার কারণে সে তার স্বামীর বাধ্য হবে, এমনটাই মনে করে স্বামীর পরিবার। পরিবার থেকে এই বিচ্ছিন্নতা নারীর মানসিক বিপর্যয়ের কারণ হয়ে ওঠে। স্বামীর সঙ্গে বয়সের ব্যবধান বেশি হওয়ায় মেয়েদের ওপর সহিংসতা ও জোরপূর্বক সঙ্গমের ঘটনা বেশি হয়। কম বয়সে বিবাহিত মেয়েরা বিয়ে-পরবর্তী সহিংসতায় বেশি ভোগে। কম বয়সে বিয়ের কারণে মেয়েরা সম্পূর্ণভাবে স্বামীর ওপর নির্ভর করে। পারিবারিক ও যৌন নির্যাতন তাদের জীবনব্যাপী মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে, কারণ ওই সময় তাদের মানসিক বিকাশ হওয়ার সময়। এ কারণে তারা বিষন্নতা এমনকি আত্মহত্যার চিন্তাও করে।
২০১১ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ১১ অক্টোবরকে আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০১২ সালের ১১ অক্টোবর সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস পালন করা হয়, যার মূল প্রতিপাদ্য ছিল বাল্যবিয়ে নির্মূল করা। ২০১৩ সালে প্রথম জাতিসংঘ মানবাধিকার সভায় বাল্যবিয়ে ও জোরপূর্বক বিয়ের বিরুদ্ধে নীতিমালা নির্ধারণ করা হয়। এতে বলা হয়, বাল্যবিয়ে হলো মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং এই প্রথা বন্ধ করার ব্যাপারে সংকল্প ব্যক্ত করা হয়। ২০১৪ সালে জাতিসংঘের নারীর অবস্থান শীর্ষক কমিশনে এক দলিল পেশ করা হয়, যেখানে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি বাল্যবিয়ে দূর করার ব্যাপারে ঐকমত্য ঘোষণা করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী, বাল্যবিয়ে রোধের প্রধান উপায় হলো নারীদের শিক্ষা অর্জন, বিয়ের ন্যূনতম বয়স-সংক্রান্ত আইন কার্যকরণ এবং অভিভাবকদের বাল্যবিয়ের ঝুঁকি সম্পর্কে অবগত করা। বাল্যবিয়ে রোধে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বিভিন্ন পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে নারীর ক্ষমতায়ন, বাল্যবিয়ের সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি সম্পর্কে অভিভাবকদের অবহিত করা, সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো, নারী শিক্ষা সমর্থন এবং নারীদের ও তাদের পরিবারকে অর্থনৈতিক সাহায্য করা।
বাংলাদেশে ‘বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন, ২০১৭’ অনুযায়ী আদালত নিজ উদ্যোগে বা কোনো ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে বা অন্য কোনো মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে যদি এই মর্মে নিশ্চিত হন যে, কোনো বাল্যবিয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, অথবা বাল্যবিয়ে অত্যাসন্ন, তাহলে আদালত ওই বিয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবেন। কোনো ব্যক্তি আরোপিত নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করলে তিনি অনধিক ছয় মাস কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং অর্থদণ্ড অনাদায়ে অনধিক এক মাস কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। কোনো ব্যক্তি মিথ্যা অভিযোগ করলে তা হবে একটি অপরাধ এবং সেজন্য তিনি অনধিক ছয় মাস কারাদণ্ড অথবা অনধিক ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং অর্থদণ্ড অনাদায়ে অনধিক এক মাস কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। প্রাপ্তবয়স্ক কোনো নারী বা পুরুষ বাল্যবিয়ে করলে তা অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক দুই বছর কারাদণ্ড বা অনধিক এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং অর্থদণ্ড অনাদায়ে অনধিক তিন মাস কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
সহকারী কর্মকর্তা, ক্যারিয়ার অ্যান্ড প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট সার্ভিসেস বিভাগ
সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়
arafat.bcpr@seu.edu.bd