Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 12:42 am

বাসে গেটলক সিস্টেম না মানলেই মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকায় আন্তঃজেলা বাসগুলো গেটলক সিস্টেম না মেনে যত্রতত্র যাত্রী তুললে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

তেজগাঁওয়ের লাভ রোডে আহ্ছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ট্রাফিক সেফটি অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম অ্যান্ড রোড সেফটি সেøাগান কন্টেস্ট-২০২৪ শীর্ষক এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

এ সময় হাবিবুর রহমান বলেন, ‘গেটলক চেকিং সিস্টেমে টার্মিনাল থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে বাস গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়ার পর নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া আর কোথাও দাঁড়াতে পারবে না। টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে গন্তব্যে চলে যাবে। যত্রতত্র দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করলেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

মহাখালী এলাকার যানজটের কারণ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগরী এলাকায় মহাখালী একটি বড় বাস টার্মিনাল। টার্মিনালে যে পরিমাণ জায়গা রয়েছে, সেখানে ৪০০ গাড়ি পার্কের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এখানে প্রতিদিন ১ হাজার ৮০০ গাড়ি চলাচল করে। যে কারণে দীর্ঘদিন ধরে গাড়িগুলো রাস্তার মধ্যে পার্ক করা হতো। মহাখালী থেকে আব্দুল্লাহপুর ও উত্তরা হয়ে যে গাড়িগুলো ঢাকার বাইরে যায় সেই গাড়িগুলো মহাখালী থেকে ছেড়ে বনানী পর্যন্ত একটু একটু করে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলতে তুলতে যেত। বিশেষ করে মহাখালী রেল ক্রসিংয়ে যাত্রীরা জড়ো হলে সেখান থেকে বাসগুলো যাত্রী তুলত। এটিই মহাখালী এলাকায় যানজটের অন্যতম কারণ।’

ট্রাফিক পুলিশ কাজ করছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘মহাখালী বাস মালিক শ্রমিক ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যানজট কমানোর উদ্দেশ্যে মহাখালী থেকে যে গাড়িগুলো ছাড়বে তারা বনানীর আগে কোনোভাবেই পার্ক করবে না, কোনো যাত্রী তুলবে না এবং যাত্রী নামাবে না। ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রমে দেখা গেছে, কোনো কোনো গাড়ি এ নিয়ম অমান্য করেছে। এরই মধ্যে নিয়ম না মানা ১৫টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে।’

এ নিয়ম বাস্তবায়নে বাধ্য করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যখন মহাখালী বাস টার্মিনাল চালু হয় তখন থেকেই রাস্তায় পার্ক করে যাত্রী নেওয়ার কার্যক্রম চলে আসছে। এতদিন পর কাজটি শুরু হয়েছে। তবে শতভাগ প্রতিষ্ঠিত করতে কিছুটা সময় লাগবে। এটি বাস্তবায়নে যাত্রী ও বাসের সংশ্লিষ্টদের বাধ্য করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘একজন চালক রাস্তার অবস্থা বুঝে গাড়ি চালান। আমাদের ঢাকা মহানগরীতে বড় গাড়ির জন্য ৪০ ও মোটরসাইকেলের জন্য ৩০ কিলোমিটার গতি নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে বৈধ ওভারটেকিংয়ের কোথাও ব্যবস্থা নেই। পরিস্থিতি বুঝে চালক বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে ওভারটেকিং করলে সমস্যা হবে না।’

তিনি বলেন, ‘যাত্রীবাহী গাড়ি রাস্তায় কোনো সার্জেন্ট আটকাবে না। তবে সেই গাড়ি যদি গতিসীমা ভঙ্গ করে ও দুর্ঘটনা ঘটায় সে ক্ষেত্রে আটকানো হবে।’