নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনের দিনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বাস পোড়ানো ও হাতবোমা ফাটানোর ঘটনায় আরও ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মোহাম্মদ ওয়ালিদ হোসেন জানান, বৃহস্পতিবারের এসব ঘটনায় দায়ের করা মোট ১৬টি মামলায় গতকাল পর্যন্ত মোট ৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার বিকাল পর্যন্ত এসব ঘটনায় মোট ৩২ জন গ্রেপ্তার হয়, যাদের মধ্যে ২৬ জনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
অন্যদিকে বাস পোড়ানোর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা-১৮ আসনের প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলসহ দলটির ১৫০ নেতাকর্মীর জামিন আবেদন করা হয়েছে।
গতকাল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ জামিন আবেদন করেন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তিনি বলেন, বিএনপির ৩৮ সিনিয়র নেতাসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা-১৮ আসনের প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল।
তিনি বলেন, এ মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের একজন ইশরাক হোসেন, যিনি আইসোলেশনে আছেন। অথচ তাকে গাড়ি পোড়ানোর মামলায় আসামি করা হয়েছে। অন্য আরেকজন হলেন প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি উত্তরায় নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। তাকে খিলক্ষেত থানায় প্রধান আসামি করা হয়েছে। খুব শিগগিরই এদের জামিন আবেদনের শুনানি হবে। হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকায় পর্যায়ক্রমে অন্য আসামিদেরও জামিন আবেদন করা হবে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়। এর মধ্যেই নির্বাচনী এলাকায় হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এছাড়া ঢাকার বিভিন্ন স্থানে মোট ১১টি বাস পোড়ানো হয়। এসব ঘটনায় ৯টি থানায় মোট ১৬টি মামলা হয়েছে। বাস পোড়ানোর জন্য বিএনপিকে দায়ী করছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা। অন্যদিকে বিএনপি দাবি করছে, তাদের ফাঁদে ফেলতে ক্ষমতাসীনরাই বাস পুড়িয়েছে।