বাড়ছে ‘বি’ ক্যাটেগরি শেয়ারের আধিপত্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘদিনের মন্দা বাজারে মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির শেয়ারদর অনেকটা নিচে নেমে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে ‘বি’ ক্যাটেগরির শেয়ারের আধিপত্য বাড়ছে। এর ধারাবাহিকতায় আলোচিত কোম্পানিগুলো লেনদেনেও ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহের লেনদেন পর্যালোচনায় এমনটিই জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সালভো কেমিক্যালের শেয়ার গত বৃহস্পতিবার সর্বশেষ ২৪ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিটির শেয়ার গত ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ১৯ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। এর পর থেকে কোম্পানিটির শেয়ারদর অধিকাংশ সময় বেড়েছে। কোম্পানিটি ২০১৪ সালের শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছে। দুই বছর ধরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ হিসেবে পাঁচ শতাংশ বোনাস শেয়ার দিয়ে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে।

সর্বশেষ প্রকাশিত দ্বিতীয় প্রান্তিকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে সালভো কেমিক্যালের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১০ পয়সা, যেক্ষেত্রে আগের বছর একই সময়ে আয় হয়েছিল ১৮ পয়সা। জুলাই থেকে ডিসেম্বর ছয় মাসে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছিল ৩৩ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে আয় হয়েছিল ৩৯ পয়সা। অর্থাৎ অর্ধবার্ষিক এবং দ্বিতীয় প্রান্তিক উভয় সময়ই আয় কমেছে কোম্পানিটির।

এদিকে ফাইন ফুডের শেয়ারদর সর্বশেষ ৪১ টাকা ৪০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিটি ২০১৩ সালে শেয়ারহোল্ডারদের দুই শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। পরের দুই বছর লভ্যাংশ দিতে ব্যর্থ হয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। দুই বছর ধরে শেয়ারহোল্ডারদের দুই শতাংশ করে বোনাস লভ্যাংশ দিয়ে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর তিন মাসে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসান দাঁড়িয়েছিল ২২ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছিল ২১ পয়সা। গত বছর জুলাই থেকে ডিসেম্বর ছয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১৮ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছিল ৪১ পয়সা।

শুধু এ দুটি কোম্পানিই নয়, অধিকাংশ দুর্বল কোম্পানির শেয়ারে বেশ আধিপত্য লক্ষ করা যায়। গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের দর বাড়ার শীর্ষ তালিকায়ও ‘বি’ ক্যাটেগরির এ দুই কোম্পানি স্থান পেয়েছে। উত্থান বা পতনের বাজারে এসব শেয়ারদরে সুযোগ বুঝে উল্লম্ফন দেখা দেয়। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এসব শেয়ারে বিনিয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই এসব শেয়ারে বিনিয়োগের আগে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, বাজারের উত্থান ও পতনে শেয়ারসংখ্যা কম, স্বল্পমূলধনি কোম্পানির শেয়ারে কোনো অসৎ চক্র জড়িয়ে পড়ে। যখন দর বাড়তে থাকে তখন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করে। ঠিক সেই সময়ে সুযোগ বুঝে চক্রটি মুনাফা হাতিয়ে নিয়ে কেটে পড়ে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিনিয়োগকারীরা।

এ সম্পর্কে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন, আমরা বারবার বলে আসছি কোনো কোম্পানিতে বিনিয়োগের আগে ওই কোম্পানির ইতিহাস জানতে হবে। পরে বুঝে-শুনে সতর্কতার সঙ্গে বিনিয়োগ করতে হবে।

তথ্যমতে, গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ১১১ কোটি ১০ লাখ এক হাজার টাকা ‘বি’ ক্যাটেগরির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৯৫ কোটি ১৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে এসব কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন বেড়েছে।

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০