নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড (ডিএসই) যৌথভাবে প্রথমবারের মতো ফিন্যান্সিয়াল টেকনোলজির (ফিনটেক) ওপর প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করেছে। গত সোমবার ডিএসইর ট্রেনিং একাডেমিতে এ কর্মশালা উদ্বোধন করা হয়। ডিএসই ও পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা এ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে কর্মশালা উদ্বোধনকালে বিআইসিএমের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক মাহমুদা বেগম বলেন, ফিনটেকের প্রশিক্ষণ শুধু টেকনোলজি শেখা তা নয়, বরং গ্লোবালি ফিনটেক হলো ফাইন্যান্স, ইকোনমিক্স, অ্যাকাউন্টিং ও ইনফরমেশন টেকনোলজিসহ সব কিছুর একটি সমন্বিত জ্ঞান।
তিনি বলেন, ফিনটেক ফিন্যান্সিয়াল প্রোডাক্ট, প্রসেস এবং ক্যাপিটাল মার্কেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উন্নত টেকনোলজি যেমন আরবিট্রেশন ইন্টিলিজেন্স, মেশিন লার্নিং, ব্লক চেইন, ডেটা এনালাইটিক্সÑএগুলোর মাধ্যমে নিত্য নতুন সার্ভিসগুলোকে আরও মর্ডানাইজ করছে। আমাদের ক্যাপিটাল মার্কেটে ফিনটেক নতুন এক সম্ভাবনার দ্বার উম্মোচন করছে। এর মাধ্যমে আমাদের অর্থনীতি আরও বেশি উন্নত হবে। এজন্য আমাদের ফিনটেকের বেসিকগুলো বুঝতে হবে এবং মানিয়ে নেয়ার জন্য আমাদের এ বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। এজন্য এ কর্মশালাটি সময়োপযোগী।
ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তারিক আমিন ভূইয়া বলেন, আপাতত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ফিনটেক সম্পর্কে ধারণা গ্রহণ করবে। পরবর্তীতে ডিএসই ফিনটেক কোম্পানি হিসেবে পরিচালিত হবে। এজন্য যদি শুধু গুটি কয়েক লোকের ফিনটেক সম্পর্কিত জ্ঞান থাকে তাহলে পরবর্তীতে ডিএসইকে ফিনটেক কোম্পানি হিসেবে পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়বে। সেজন্য এ ট্রেনিংয়ের আয়োজন।
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, ফিনটেকের ওপর দক্ষ জনশক্তি তৈরি করলেই চলবে না, আমাদের স্টেকহোল্ডারদেরও সমৃদ্ধ করতে হবে। এটার মূল উদ্দেশ্য হলো ৫পি থিওরির যে প্রথম পি, পিপল, মানে আমাদের যে জনশক্তি ফিনটেক সম্পর্কে তাদের জ্ঞানভাণ্ডার সমৃদ্ধ করা। ভবিষ্যতে আরও বিশদ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে।’
কর্মশালা সঞ্চালনা করেন ডিএসইর উপমহাব্যবস্থাপক ও ট্রেনিং একাডেমির প্রধান মো. আব্দুর রাজ্জাক। কর্মশালায় লিড ফ্যাসিলিটেটর ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র সহযোগী অধ্যাপক সুবর্ণ বড়–য়া। কর্মশালাটি সপ্তাহে দুই দিন করে ৩১ মার্চ পর্যন্ত চলবে।
