শেয়ার বিজ ডেস্ক; একটা সময় ছিল যখন বিউটি ইন্ডাস্ট্রি কথাটির সাথে কেউই পরিচিত ছিল না বিউটি প্রফেশন বলতে সাধারণ মানুষ স্বভাবতো পার্লারে কাজ করার কথাটি বুঝতেন বিউটি প্রফেশন এই শব্দটি শুনতেই সবার মনে হতো এটি আপাদমস্তক নারীদের বিষয়বস্তু। সময়টা পাল্টে গেছে বদলে গেছে গতানুগতিক বিউটি ইন্ডাস্ট্রির সংজ্ঞা সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিউটি ইন্ডাস্ট্রির পরিধি ও সম্ভাবনা।
এই সময়টাকেই হয়তো দূর থেকে আঁচ করতে পেরেছিলেন জনাব আসগর মিরন। এজন্যই দেশের প্রথম বিউটি প্রফেশনাল ওয়ার্কশপের মাধ্যমে শুরু করেন লুক ইনস্টিটিউট। সময়টা ছিল ২০১৬, বর্তমানে লুক ইনস্টিটিউট প্রতিনিয়ত বিউটি ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন ক্যারিয়ার ও উদ্যোক্তা সৃষ্টির সুযোগ অন্বেষণ করছে।
“আমি বিদেশি মাইগ্রেট করার উদ্দেশ্যে অনেক বছর যাবত নতুন কোন স্কিল শেখায় উদ্যত ছিলাম একটু জানাশুনার পর বুঝলাম বাইরে বিউটি প্রফেশনে যথেষ্ট ভালো আয় করা সম্ভব। প্রথমদিকে সংশয় কাজ করলেও লুক ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়ার পর সত্যিই মনে হয়েছে সিদ্ধান্ত নেয়াটা ভুল কিছু ছিল না” বলছিলেন মোহাম্মদপুর নিবাসী আসিফ ইকবাল।
শুধু একটি কোর্স করলেই কি হয়? কোন কাজে দক্ষ হতে গেলে তো প্র্যাকটিসের প্রয়োজন। আশার কথা হলো, লুক ইনস্টিটিউটে কোর্স করার পর আনলিমিটেড প্র্যাকটিসের সুযোগ রয়েছে। যা দেশ থেকে দক্ষ বিউটি প্রফেশনাল সৃষ্টি করায় বিশেষ জরুরী। স্বাভাবিকভাবেই আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানিসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশে দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। প্রতিযোগিতামূলক এই শ্রমবাজারে বিউটি ইন্ডাস্ট্রি, বাংলাদেশের জন্য খুলে দিতে পারে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার।
সেই সাথে তরুন প্রজন্মের মাঝে উদ্যোক্তা হওয়ার প্রবণতা পূর্বের থেকে বেড়েছে কয়েকগুণ। উদ্যোক্তা হওয়ার ক্ষেত্রে সবাই তেমন পেশাই বেছে নিতে চায় যার একটি চলমান চাহিদা রয়েছে। এই দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশের বিউটি ইন্ডাস্ট্রিতে লুকিয়ে আছে অপার সম্ভাবনা। বাংলাদেশের জনসাধারণের মাঝে সৌন্দর্য চর্চার সচেতনতা আগামীতে আরও বৃদ্ধি পাবে, এতে বলাই যায় এই বাজার এখনো অনাবিষ্কৃত রয়েছে।
এমনই কিছু চিন্তাভাবনা থেকে লুক ইনস্টিটিউট আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্রফেশনাল বিউটি ট্রেনিং করিয়ে আসছে যা অত্যন্ত গুরুত্ব ও দায়িত্বের সাথে দক্ষ প্রশিক্ষকেরা হাতে ধরে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে এক এক করে শিখিয়ে থাকেন। তবে শুধু প্রশিক্ষণ ও প্র্যাকটিসেই সীমিত নয়, লুক ইনস্টিটিউট ব্যবসা পরিচালনার জন্য সঠিক দিক নির্দেশনা ও কনসালটেন্সির ব্যবস্থাও করছে।
“আমাদের এখানে কমপ্লিট কোর্সের মধ্যে অ্যাডভান্স ও বেশি কোর্সগুলো সাধারণত এক থেকে দুই মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যায় অন্যদিকে কেউ চাইলেই প্যাকেজ করছো করতে পারে যেখানে একাধিক কোর্স করা যায়। তবে মূলত আমাদের কোর্সের বিশেষত্বের কারণেই প্রশিক্ষণ নিতে আসেন অনেকেই আর তা হল এই কোর্সগুলো নারী পুরুষ নির্বিশেষে যে কেউই করতে পারে বিদেশে কাজের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন দক্ষ প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন যে কারণে আমরা বিদেশে মাইগ্রেশনের উপযোগী সিলেবাস ধরে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। এছাড়াও নিজের সুবিধামতো ক্লাস ও আনলিমিটেড প্র্যাকটিসের সুযোগ তো আছেই” বলছিলেন আসগর মিরন, লুক ইনস্টিটিউট এর প্রতিষ্ঠাতা।