নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) উইমেনস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন করা হয়েছে। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ।’ এ উপলক্ষে সোমবার (১১ই মার্চ) বিএডিসির প্রধান কার্যালয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেরিনা সারমীন, সাধারণ সম্পাদকসহ কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যান্য সদস্য ও বিএডিসির সর্বস্তরের নারী কর্মকর্তা-কর্মচারী। কেককাটা, বর্ণিল আনন্দঘন পরিবেশনা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে দিবসটি উদযাপিত হয়।
এদিন অ্যাসোসিয়েশন নারীদের বিশেষ শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি ফুল দিয়ে বরণ করে নেন বিএডিসির চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ সাজ্জাদ।
অনুষ্ঠানে যুগ্ম পরিচালক (পাট বীজ) মনিরা রহমান বলেন, বিনা পারিশ্রমিকে মেয়েরা ঘরে-বাহিরে কাজ করছে। কিন্তু তাদের কাজের কোন মূল্যায়ন হয় না। অডিট নিয়ন্ত্রক রুনা লায়লা বলেন, প্রোমোশনের দিক দিয়ে নারীকে কেবল নারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়, অথচ পুরুষ ও নারী উভয়ই বিএডিসির উন্নয়নে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
সহকারী ব্যবস্থাপক (অর্থ) সোনিয়া আক্তার বলেন, আমাদের সমাজে মূলত প্রাচীন যুগ থেকেই নারীকে শারীরিক গঠনগত দিক থেকে দুর্বল ভাবা হয়। কঠিন ও শ্রমসাধ্য কাজ নারীকে দিয়ে সম্ভব হবে না বলেই ধরে নেওয়া হয়। আবার নারী যদি সে কাজ সঠিকভাবে সম্পাদন করে তবু কটুকথা থেকে পরিত্রাণ পায় না।নারীর সঙ্গে সমাজের কেমন জানি একটা লুকোচুরির সম্পর্ক। ফলে নারী যতই তার জীবনের লক্ষ্যের দিকে এগুতে থাকে, ততই তাকে টেনে নিচে নামানোর পাঁয়তারা চলে। কিন্তু বর্তমান সরকার নারী উন্নয়নে বদ্ধপরিকর।
অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেরিনা সারমীন বলেন, কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়লেও নারীরা উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত হতে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার শিকার হন। যেমন: বীজ ও সেচ বিভাগ থেকে প্রকল্প পরিচালক হওয়ার সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও সে পদগুলো নারীরা পাচ্ছেন না। প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধাচার পুরষ্কার প্রদানেও নারীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। অথচ তাদের সেই যোগ্যতা রয়েছে।
সুতরাং এই বৈষম্য নিরসন করা এখন সময়ের দাবি। সভাপতি আরো বলেন, প্রতিটি অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, না হলে নারী নির্যাতন রোধ করা সম্ভব হবে না। আমাদের দেশের সার্বিক উন্নয়নের সাথে নারী নির্যাতনের চিত্রটি একেবারেই মেলানো যাই না, এখনও কেন নির্যাতন হবে? তাই যেখানেই নির্যাতন হবে সেখানেই আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।