বিএনপিকে দমনের নীতি সরকারের নেই: তথ্যমন্ত্রী

প্রতিনিধি, চবি: সরকার কখনও বিএনপিকে দমন করার নীতি অবলম্বন করেনি বলে দাবি করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। গতকাল শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) দিবস উপলক্ষে ক্যাম্পাসের জারুলতলায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি। শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ঘেরা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য শেষে ‘হেফাজতের মতো বিএনপিকে দমন করা যাবে না’Ñবিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা বিএনপিকে কখনই দমন করার নীতি অবলম্বন করিনি। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন আমাদের কোনো সমাবেশ করতে দেয়া হতো না। আমাদের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুপাশে কাঁটাতারের বেড়া থাকত। সেই বেড়ার বাইরে আমরা যেতে পারতাম না।’

বিএনপির উসকানিমূলক বক্তব্যের পরও সংযত আচরণ করতে দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা শহর কিংবা দেশের অন্য কোনো জায়গায় বিশৃঙ্খলা করলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা বিএনপি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছে। শেখ হেলাল এমপির জনসভায় হামলা করে বেশ কয়েকজন মানুষকে হত্যা করেছিল তারা। আহসান উল্লাহ মাস্টার, ড. এসএম কিবরিয়া এবং সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভাসহ আমাদের সভা-সমাবেশের ওপর বারবার বিএনপি বোমা ও গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে।

কিন্তু আমরা যখন ক্ষমতায় বিএনপির সমাবেশে একটি পটকাও ফোটেনি। তারা যাতে সুন্দরভাবে সমাবেশ করতে পারে, সেই ব্যবস্থাই সরকার সবসময় নিয়েছে।’

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হাছান মাহমুদ বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপ্তি এবং সুনাম নির্ভর করে কয়েকটি বিষয়ের ওপর। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শুধু পাঠদান ও ডিগ্রি প্রদান নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ হচ্ছে জ্ঞানের চর্চা করা এবং সেই জ্ঞানের চর্চার সঙ্গে বিশ্বাঙ্গনের যোগসূত্র ঘটানো।

বার্ষিক সূচি করে চবিতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনার-সিম্পোজিয়ামের আয়োজন এবং একটি মানসম্মত জার্নাল প্রকাশের তাগাদা দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তাহলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়বে। দুঃখজনক হলেও সত্য, এখন অবকাঠামগত উন্নয়নের দিকে আমাদের সবার নজরটা বেশি।

‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃত উন্নয়ন হচ্ছে পাঠদান ও জ্ঞানের চর্চার উন্নয়ন। বিশ্ববিদ্যালয়ে বহুমাত্রিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক চর্চার উন্নয়ন। সেটির মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন নির্ভর করে।’

অনুষ্ঠান শেষে ছাত্রাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের যে কক্ষে তিনি থাকতেন সেখানে যান। ওই কক্ষে বর্তমানে থাকা ছাত্রদের সঙ্গে কিছু সময় কাটান।

চবি উপাচার্য শিরীণ আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর ড. মুনতাসীর মামুন।

অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, চবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আবদুল করিম, সাধারণ সম্পাদক ও চিটাগং চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম, চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, চাকসুর সাবেক ভিপি মাজহারুল হক শাহ ও নাজিম উদ্দিন বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রক্টর রবিউল হাসান ভুঁইয়া।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০