নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবশ্যই উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। সব দল ও সবচেয়ে বেশি প্রার্থী এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। উৎসবমুখর ভোট হবে—এটাই আশা। নির্বাচন নিয়ে আতঙ্কের বিষয়ে বিএনপির অভিযোগ ভুল প্রমাণ হবে।
গতকাল নির্বাচন ভবনে ফলাফল ঘোষণা কেন্দ্র ও গণমাধ্যম বুথ পরিদর্শন করতে গেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন নিয়ে আতঙ্ক রয়েছে বিএনপি ও বিরোধীপক্ষের এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘তাদের অভিযোগ অবশ্যই ভুল প্রমাণ হবে। আমরা প্রস্তুত, ভোটাররা সবাই উৎসবমুখর এবং আনন্দঘন পরিবেশে ভোটে অংশগ্রহণ করবে।’
সিইসি বলেন, নির্বাচনের প্রচারণা শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে বন্ধ হয়ে গেছে। এখন প্রার্থী ও প্রার্থীর সমর্থক সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যার যার অবস্থান থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন। কাউকে কোনো ধরনের বাধা কেউ দিতে পারবে না। যার যার ভোট সে দিতে পারবে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়ে সবাইকে খেয়াল রাখার আহ্বান জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
তিনি বলেন, ‘সবার জন্য নিরাপত্তা, সবার জন্য নিরাপদ অবস্থান সৃষ্টি করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অনুরোধ করব। দেশবাসী যারা ভোটার, তারা যেন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন, সে আশাই করব।’
ভোটের প্রচার শেষে রাজনৈতিক দল, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সমর্থকদের কোনো ধরনের দ্বন্দ্বে না জড়ানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, ভোট হবে ‘উৎসবমুখর’।
‘সংখ্যালঘু’ সম্প্রদায়সহ সব ভোটারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে আগামীকাল রোববার সবাইকে নির্ভয়ে কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
এ সময় নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, কবিতা খানম এবং ইসি সচিব হেলালুদ্দীন, এনআইডি উইংয়ের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলাম সিইসির সঙ্গেই ছিলেন।
একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরতে আজ শনিবার বিকাল ৩টায় সংবাদ সম্মেলন করবেন সিইসি কেএম নূরুল হুদা।
এর আগে ৮ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণের মাধ্যমে তিনি এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিলেন। ৩০ ডিসেম্বর রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দেশের ২৯৯ আসনের ৪০ হাজারের বেশি কেন্দ্রে একযোগে ভোট হবে। একজন প্রার্থী মারা যাওয়ায় গাইবান্ধা-৩ আসনের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। ওই আসনে পরবর্তীতে তফসিল ঘোষণা করা হবে।