নিজস্ব প্রতিবেদক:বাজেট নিয়ে বিএনপির সমালোচনার জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, যাদের অর্থনীতিই ছিল লুটপাটের, তারা এই বাজেটকে কীভাবে লুটপাটের বাজেট বলে?
গতকাল শনিবার আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতাদের কথা শুনলে মনে হয় দেশে দুর্ভিক্ষ হচ্ছে।
কাদের বলেন, সারাবিশ্ব সংঘাতময়, অস্থির পরিস্থিতি বিরাজমান। অস্বস্তিকর অবস্থার পাশাপাশি ডলার সংকট রয়েছে। সোমালিয়াসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে খাদ্য সংকট। এবারের বাজেট সংকটে ঘুরে দাঁড়াবার বাজেট। বিশ্ব অস্থিরতার মধ্যেও বাংলাদেশে শেখ হাসিনা ম্যাজিক
লিডারশিপের পরিচয় দিয়েছেন। মুদ্রাস্ফীতি সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
বাজেট নিয়ে বিএনপির সমালোচনার প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘যাদের অর্থনীতিই ছিল লুটপাটের, সেই বিএনপি এ বাজেটকে লুটপাটের বাজেট বলে কী করে? তাদের সময় কী পরিমাণ বাজেট ছিল, আজকে তা কী হয়েছে?
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে ধারাবাহিক অগ্রগতির ফলে জিডিপির উন্নয়ন হয়েছে। স্বাধীনতার পর রিজার্ভ কী ছিল? শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৪৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছিল। কিন্তু বিশ্বসংকটে এটার কিছুটা তারতম্য আছে, তবে সব সংকটই সমাধান হয়ে যাবে দ্রুত।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে অনেক চিন্তা-ভাবনা করে এবারের বাজেট করা হয়েছে বলে জানান তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতাদের কথা শুনলে মনে হয় দেশে দুর্ভিক্ষ হচ্ছে। রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকতেই পারে, কিন্তু প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি আর উন্নয়ন অবদান অস্বীকারÑএগুলো কি মানা যায়?
তিনি বলেন, অনেক দেশের নেতারাই শেখ হাসিনাকে ফলো করেন এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। সারাবিশ্ব শেখ হাসিনার প্রশংসা করলেও এদেশের বিরোধী দলের লোকরা একটা ধন্যবাদও দিতে পারে না। এদেশের বিরোধী দলের রাজনীতি বিশ্বে বিরল। বিরোধী দল শুধু সমালোচনা আর বিরোধিতা করে, ভালো কোনো পরামর্শ দিতে পারে না।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশ ও মানুষের কথা চিন্তা করে আর তাই এবারের বাজেটও তৈরি করেছে দেশ ও মানুষের কল্যাণের কথা মাথায় রেখে।
মানুষের সমালোচনার মোকাবিলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নেতিবাচকগুলোকে ইতিবাচক অবস্থায় পরিণত করতেই এবারের বাজেট। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে বিশ্বের সবাই কষ্টে আছে। বিশ্ব পরিস্থিতির কারণেই মানুষ কষ্টে আছে, সরকার মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে না। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার চেষ্টা করছে।
অপরদিকে বিকালের এক অনুষ্ঠানে কাদের বলেন, আমরা অশান্তি চাই না। আমরা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ চাই। সেজন্য পরিবেশ শান্তিপূর্ণ চাই। যারা সংঘাতে উসকানি দেবে, পরিষ্কার জানাতে চাইÑআমরা আক্রমণ করব না। কিন্তু আওয়ামী লীগ আক্রান্ত হলে আমরা কিন্তু ছাড়ব না।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, নেত্রী (শেখ হাসিনা) আপনার আওয়ামী লীগ এখন অনেক শক্তিশালী। আওয়ামী লীগ আবার জেগেছে। রাজপথে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব আছে। আমরা সর্তক থাকব। তারা যতই হুমকি দিক, আমরা আমাদের জায়গায় তাদের সংঘাতের বিরুদ্ধে শান্তির সমাবেশ করেই যাব।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে। বাংলাদেশের উন্নয়ন আর অর্জনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে শেখ হাসিনার ক্ষমতায় থাকার কোনো বিকল্প নেই।