নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বিএনপির সংলাপে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে বলেছেন, আমরা ওয়েট (অপেক্ষা) করব। যদিও নির্বাচন কমিশন (ইসি) মঙ্গলবারই জানিয়েছে সংলাপে তারা অংশ নেবে না। বিএনপি মহাসচিবও গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তারা ইসির সংলাপে আসবেন না। গতকাল বুধবার গণতন্ত্রী পার্টির সঙ্গে সংলাপ শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। বিএনপি সংলাপে আসছে না, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সিইসি বলেন, ‘আমরা ওয়েট করব’। বিএনপিকে সংলাপে আনার জন্য বিশেষ কোনো উদ্যোগ নেবেন কি না জানতে চাইলে এর কোনো উত্তর দেননি সিইসি। সংলাপ শেষ হলে সারবস্তু অবহিত করা হবে বলে জানান তিনি।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যতগুলো পার্টি সংলাপে অংশ নিয়েছে, তাদের সবার মনোভাব ইতিবাচক। তারা ভালো নির্বাচন যাতে হয়, ভোটাররা যেন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনÑএ বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেছেন। আমরাও বলেছি, সত্যিকার অর্থে এটিই আমাদের একমাত্র দায়িত্ব। প্রত্যেকটা ভোটার যেন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। এটাই গণতন্ত্রের ভিত্তি। এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। প্রতিটি দলই বলেছে তারা ঐকমত্যে বিশ্বাস করে। ঐকমত্য তো হতেও পারে, নাও হতে পারে। কিন্তু আমরা বলেছি, আমরা আমাদের প্রয়াস অব্যাহত রাখব। এ বিষয়ে কেউ না করেনি। প্রয়াসটি অব্যাহত থাকবে।’
চার দিনে ১১টি দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে ইসি, আমন্ত্রণ পাওয়া দুটি দল আসেনি। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিবন্ধিত দলগুলোর সঙ্গে এই বৈঠক শেষ করার কথা রয়েছে ইসির।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, এ পর্যন্ত যতগুলো পার্টি সংলাপে অংশ নিয়েছে, তাদের সবার মনোভাব ইতিবাচক। ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার যাতে প্রয়োগ করতে পারেন, এ বিষয়টি তারা নিশ্চিত করেত বলেছেন। আমরাও বলেছি, সত্যিকার অর্থে এটিই আমাদের একমাত্র দায়িত্ব যে প্রত্যেকটা ভোটার যেন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। এটাই গণন্ত্রের ভিত্তি। এ ক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন এবং প্রতিটি দলই বলেছে তারা ঐকমত্যে বিশ্বাস করে। ঐকমত্য তো হতেও পারে, নাও হতে পারে।
ইসির প্রতি কিছু রাজনৈতিক দলের যে অনাস্থা, এই সংলাপের মধ্য দিয়ে তা দূর হবে কি নাÑজানতে চাইলে সিইসি বলেন, ইসির প্রতি অনাস্থা সবসময় আছে বা নাই দুটো জিনিস। আপনারা তো পেপারেই দেখছেন, একটা দলের হয়তো অনাস্থা আছে। আবার আমাদের সঙ্গে যারা বসেছে, তাদের প্রত্যেকের আমাদের প্রতি আস্থা আছে।
গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ড. শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে ১০ জন প্রতিনিধি বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সংলাপে অংশ নেন। গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন কোনো খেলা নয়, ইসি রেফারিও নয়। ইসির দায়িত্ব হচ্ছে অভিভাবকের। কোনো দল নির্বাচনে এলো কি এলো না, তা কমিশনের দায়িত্বও নয়। ভোটাররা যেন নির্ভিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, সে ব্যবস্থা করতে হবে ইসিকে। এবার আর কাউকে দায় দেয়া যাবে না, দায় নিতে হবে কমিশনকে। নির্বাচনে ধর্মের ‘অপব্যবহার’ নিষিদ্ধ করাসহ পাঁচ দফা দাবি সংলাপে উপস্থাপন করে দলটি।