নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির রাজনীতি বিদেশি প্রভুদের কৃপানির্ভর বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘জনগণ, গণতন্ত্র এবং কল্যাণকর রাজনীতির প্রতি বিএনপির ন্যূনতম বিশ্বাস থাকলে দেশের গণতন্ত্রে কোনো সংকট সৃষ্টি হতো না।’ গতকাল সোমবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে বিএনপি নেতাদের ‘দুরভিসন্ধি ও উসকানিমূলক বক্তব্যের’ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান ওবায়দুল কাদের।
অতীতের ধারাবাহিকতায় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান করে বিএনপি নির্বাচন ও নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিগত দিনে দেশের সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামীতেও সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচন বানচালের লক্ষ্যে ২০১৪ সালে সারাদেশে অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে শত শত নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল। নির্বাচন প্রতিরোধের নামে তিন হাজারের বেশি মানুষকে পুড়িয়েছিল, পাঁচ শতাধিক ভোটকেন্দ্র ও স্কুলসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দিয়েছিল। এজলাসে বসা বিচারককে বোমা মেরে হত্যা ও আইনজীবীকে হত্যা করেছিল। রেললাইন উপড়ে ফেলেছিল, হাজার হাজার গাছ কেটে ও রাস্তা কেটে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির মাধ্যমে মধ্যযুগীয় কায়দায় নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল।’
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘‘২০১৮ সালের নির্বাচনে তাদের (বিএনপি) নেতা তারেক রহমান লন্ডনে বসে রমরমা মনোনয়ন বাণিজ্যে মেতে উঠেছিলেন। ৩০০ আসনে প্রায় ৭৫০ জনকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। আজ তারা যখন বলে ‘নির্বাচন হতে দেবো না’, তখন দেশের মানুষ স্পষ্টতই বুঝতে পারেÑদেশের জনগণ, গণতন্ত্র, সংবিধান ও আইনের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই।”
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পবিত্র সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়েই অনুষ্ঠিত হবে। কোনো অপশক্তিই এই নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। অসাংবিধানিক ও বেআইনিভাবে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ।’