নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আন্দোলনে ব্যর্থ এবং নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি নেতারা নিজেরাই মহাবিপদে আছেন। তাদের হাল ধরার কেউ নেই, তারা পথহারা পথিক।’
গতকাল শুক্রবার বিকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে (কেআইবি) আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির পথে প্রধান অন্তরায় জঙ্গিবাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি। দেশের উন্নয়ন-সমৃদ্ধিকে বাঁচাতে হলে যে কোনো মূল্যে এদের রুখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নিজেরা বিপদে পড়েছে বলে গুজব ছড়ায়, দেশকে বিপদে ফেলার অপচেষ্টা করে। যতদিন শেখ হাসিনা আছেন, এদেশ ততদিন নিরাপদ থাকবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘এদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনাই হয়েছে কৃষকদের হাতে। কৃষি বাঁচলে বাংলাদেশের অর্থনীতি বাঁচবে। এটাকে গুরুত্ব দেয়ার ফলে বৈশ্বিক সংকটেও কঠিন পরিস্থিতি সহজে মোকাবিলা করতে পেরেছে বাংলাদেশ।’
তিনি বলেন, ‘যারা এ দেশকে নিয়ে বেশি কথা বলেন, কথায় কথায় সরকারের সমালোচনা করেন, যারা আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচনে ব্যর্থ, তারাই গণতন্ত্রের সমালোচনা করেন।’
এদিকে কৃষক লীগকে শহরের মধ্যে আটকে না রেখে গ্রামের দিকে নিয়ে যাওয়া ভালো বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, কৃষক লীগের ধানমন্ডি শাখা, বনানী শাখা, গুলশান শাখা, বারিধারা শাখা এসবের কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। একসময় এমনও ছিল যে কুয়েতে, কাতারে, সৌদি আরবে, আমেরিকায় কৃষক লীগ ছিল।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে সারা বিশ্বের যে সংকটÑআজকে এ অবস্থায় কৃষির অর্থনীতি হচ্ছে আমাদের দেশের অর্থনীতির প্রাণভ্রমরা এবং এটাই প্রমাণিত হয়েছে কৃষি বাঁচলে বাংলাদেশের অর্থনীতি বাঁচবে। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে হলে কৃষককে বাঁচাতে হবে।
মহাবিপদে আছে বিএনপি বলে জানিয়ে তিনি বলেন, আজকে যারা বাংলাদেশ নিয়ে বেশি কথা বলেন, যারা আজ কথায় কথায় সরকারের, গণতন্ত্রের সমালোচনা করেন, আজকে যারা আন্দোলন করতে ব্যর্থ, নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ, তারা গণতন্ত্রের সমালোচনা করেন। বাংলাদেশকে নিয়ে কথায় কথায় ফখরুল বলে মহাবিপদ। মহাবিপদে আছে বিএনপি। নেতা লন্ডনে, কর্মীরা হতাশ। কী করবে? হাল ধরার কেউ নেই। বিএনপি পথহারা পথিকের মতো দিশাহারা। এই দলের ভবিষ্যৎ আছে বলে কর্মীরাও বিশ্বাস করেন না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপির উদ্দেশে বলেন, এই দলকে নিয়ে মাথাব্যথার কারণ একটা আছে। এরা সাম্প্রদায়িক শক্তির ঠিকানা। এরা জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক। এরা অর্থপাচার-দুর্নীতির রাজা। কাজেই এই অপশক্তিকে রুখতে হবে। এদেশের উন্নয়ন, নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও সার্বিক অগ্রগতির পথে প্রধান অন্তরায় হচ্ছে বিএনপি। এদের প্রশ্রয় দেয়া যাবে না। এদের রুখতে হবে। বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে এই অপশক্তিকে রুখতে হবে একসঙ্গে। এটাই হোক কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রত্যয়, শপথ ও অঙ্গীকার।
কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটুর সঞ্চালনায় আলোচনা আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়-বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুন্নাহার লাইলী।