নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনে অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত ও নিহতদের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এক একজনের জীবনে কত স্বপ্ন ছিল, কত আকাঙ্ক্ষা ছিল। সেই স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষাগুলো সব পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। আমি দেশবাসীকে শুধু এটুকুই বলবো, ওই দুঃসময়ের কথা যেন কেউ ভুলে না যায়।
রোববার রাজধানীর জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘অগ্নি সন্ত্রাসের আর্তনাদ : বিএনপি-জামাতের অগ্নি সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের খণ্ডচিত্র’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের ঘটনা ঘটালে সহ্য করা হবে না। কেউ রাজনীতি করতে চায়, সুষ্ঠ রাজনীতি করুক আমাদের আপত্তি নাই। কিন্তু সাধারণ মানুষের গায়ে কেউ হাত দিলে তাদের রক্ষা নাই। এটা সহ্য করা যায় না, কোনো মানুষ সহ্য করতে পারে না। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে কেউ না ঘটাতে পারে সে বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, দল-মত নির্বিশেষে এদেশের প্রতিটি মানুষের স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার আছে। প্রতিটি মানুষের স্বাধীনভাবে নিজের জীবন-জীবিকা করার অধিকার আছে। সেই অধিকার সংরক্ষণ করাই আমাদের দায়িত্ব। আমরা সেটাই চেষ্টা করে যাচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৩ সালেই প্রায় তিন হাজার ৬০০ জনকে পেট্রোল বোমা মেরে তারা আহত করেছে। ২০১৪-২০১৫ সালেও একই কাজ করেছে। এটা কিরকম আন্দোলন আমি জানি না।
তিনি বলেন, যারা এ ধরনের অগ্নি-সন্ত্রাসের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে, বিচার হচ্ছে, অনেকে শাস্তি পাচ্ছে, ভবিষ্যতেও পাবে। কিন্তু যারা হুকুমদাতা তাদের কথা আপনারা ভেবে দেখেন। যারা এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কাজ করতে পারে জানি না মানুষ কীভাবে এদের পাশে দাঁড়ায়, কীভাবে সমর্থন করে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট কর্মসূচির নামে আগুন সন্ত্রাস করেছিল দাবি করে সেই সব ঘটনায় ভিডিওচিত্র তুলে ধরা হয়। পরে শেখ হাসিনা ওইসব ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ ব্যক্তি ও নিহতদের সঙ্গে কথা বলেন। অনেক তাদের কষ্টের কথা বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এসময় তাদের সমবেদনা জানান তিনি।
সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন আহত, নিহতদের পরিবারের সদস্য এবং পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে সামরিক আদালতে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বিমান বাহিনীর সদস্যের পরিবারের সদস্যরা।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা ছাড়াও বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।