নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির আসা-না আসা নির্বাচন অনুষ্ঠানের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, সেটা তাদের ব্যাপার। সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন যথাসময়েই অনুষ্ঠিত হবে। সময় ও স্রোত কারও জন্য অপেক্ষা করে না। নির্বাচনও কারও জন্য অপেক্ষা করবে না। বিএনপি নির্বাচনে এলো কি এলো না, তা দেখার বিষয় নয়।’
গতকাল জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা হয়।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘উচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার জাদুঘরে চলে গেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর জাদুঘর থেকে ফিরে আসবে না।’
বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যতই হাঁকডাক করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য, কোনো লাভ হবে না। পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবেই হবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি চলছে। তারেক রহমান দেশের বাইরে আছে। মুচলেকা দিয়েছিল আর রাজনীতি করবে না। শেখ হাসিনা যথার্থই বলেছেন, সাহস থাকলে মাঠে আসেন, মাঠে এসে রাজনীতি করেন। বিএনপির ক্ষমতার স্বপ্ন ‘দিল্লি অনেক দূর’।’’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক রাজনীতি পুনর্বাসিত করেছেন জিয়াউর রহমান। বিএনপি মুক্তিযোদ্ধার দল নয়, মুখোশধারী মুক্তিযোদ্ধার দল। এটা গণতান্ত্রিক দল নয়, বর্ণচোরা গণতান্ত্রিক দল। সাম্প্রদায়িক শক্তির বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি। এখন দেশের ১ নম্বর শত্রু হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা। আর এই সাম্প্রদায়িকতার চারা জিয়াউর রহমান রোপণ করেছিল। সেই বিষবৃক্ষ এখন ডালপালা ছড়াচ্ছে।’
জেলহত্যা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের অভিভাবকশূন্য করতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল, আর নেতৃত্বশূন্য করতে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। কারা এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছিল? আপনারা এই দায় এড়াতে চান? সুস্পষ্ট প্রমাণ আছে খুনিদের রক্ষা করতে কে তাদের বিদেশে পাঠিয়েছিল, পুরস্কৃত করেছিল। খুনিদের পুরস্কৃত ও পুনর্বাসন করেছিল সেনাপতি জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে নাÑএই অধ্যাদেশের বৈধতা দিয়েছিল জিয়াউর রহমান। ফখরুল সাহেব এটা কি অস্বীকার করতে পারবেন। ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড আর জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ডে নেপথ্যের মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমান। খুনিদের মতোই একই অপরাধে তিনি অপরাধী। তিনি যদি হত্যাকারী না-ই হবেন, তাহলে এই হত্যার বিচার হবে নাÑএ আইনকে কেন বৈধতা দিলেন।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় দলের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর নেতারা বক্তব্য দেন।