বিএনপি নেতারা ‘আবোল-তাবোল’ বকছেন: কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি নেতারা আত্মনিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ‘আবোল-তাবোল বকছেন’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতারা বক্তব্য দেয়ার ক্ষেত্রে নিজেদের সীমা লঙ্ঘন করছেন। কখন যে কী বলছেন, তার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারছেন না। ফখরুল সাহেবও ইদানীং আবোল-তাবোল বক্তব্য রাখছেন।’

খালেদা জিয়া না থাকলে আওয়ামী লীগও থাকবে নাÑবিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় গতকাল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আসলে আবোল-তাবোল বলতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলছেন। এটা মুখ ফসকে বেরিয়ে গেছে। তিনি আসলে বলতে চেয়েছিলেন, খালেদা জিয়া না থাকলে বিএনপিই থাকবে না। তার মনের কথা ছিল সেটা।’

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া না থাকলে আওয়ামী লীগ কেন থাকবে না? এটা একটা হাস্যকর ব্যাপার।’

খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি ‘মনগড়া’ বক্তব্য দিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, ‘তারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের দিবাস্বপ্ন দেখছে। এ স্বপ্ন একদিন দুঃস্বপ্নের নামান্তর হবে।’

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এদেশের মাটি ও মানুষের দল, এ দলের শেকড় এদেশের মাটির অনেক গভীরে। যতদিন এই বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন আওয়ামী লীগ ইনশাআল্লাহ বেঁচে থাকবে।’

বিএনপির সমালোচনা করে কাদের বলেন, ‘বিএনপির গণতন্ত্র হলো কারফিউ গণতন্ত্র। তাদের বহুদলীয় গণতন্ত্র বহুদলীয় তামাশা। ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচন বিএনপির গণতন্ত্র। সোয়া এক কোটি ভুয়া ভোটার তৈরি তাদের গণতন্ত্রের প্রতিফলন।’

খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়েও বিএনপি ‘রাজনীতি’ করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘কেন এত বড় বড় আইনজীবী থাকা সত্ত্বেও খালেদা জিয়ার মামলা আইনিভাবে মোকাবিলা করে তাকে মুক্ত করল না। অনেকেই মনে করেন, এই সময়ক্ষেপণ খালেদা জিয়ার অসুস্থতার ফল। একদিন সময় আসবে খালেদা জিয়াকে নিয়ে নেতাদের জবাবদিহি করতে হবে কর্মীদের কাছে। নেতাদের অপরাজনীতির জবাব চাইবে তারা।’

বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনে দলের কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে এক যৌথসভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বর্ণাঢ্য আয়োজনে এই উৎসব আমরা পালন করতে চাই। মনে রাখতে হবে, আমাদের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ স্মৃতি আবেগের স্মৃতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্মৃতি, স্বাধীনতা ও বিজয়ের ৫০ বছরের স্মৃতি উদ্যাপন করব।’

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকাল ৪টায় সারাদেশের মানুষকে শপথ পড়াবেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এছাড়া সকালে শহীদদের স্মরণে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও বঙ্গবন্ধু জাদুঘর প্রাঙ্গণে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।’

১৭ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, ভুটানের রাজা অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন।

১৮ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তন থেকে শোভাযাত্রা বেরিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যাবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘বিজয় শোভাযাত্রায়, বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন ও  সাজসজ্জা  থাকবে, তবে মানুষের ভোগান্তি যাতে না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’

যৌথসভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া ও উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র আতিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০