Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 5:35 pm

বিএনপি বাসে আগুন দিয়েছে দিবালোকের মতো স্পষ্ট: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি মানুষ পোড়ানোর নোংরা খেলায় মেতেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, এটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট, বিএনপি বাসে আগুন দিয়েছে।

২০১৩ সালের মতো বাসে আগুন নিয়ে আবারও নোংরা খেলায় মেতে ওঠেছে। বাস পুড়িয়ে আবার তাদের নেতারা অবলীলায় মিথ্যা বলছে। তারা যদি আগুন নিয়ে খেলে, নিজেরাই সেই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে।

গতকাল দুপুর সোয়া ১টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম মহান নেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, রাজনীতিতে অস্তিত্বের জানান দিতে বাস পোড়াতে হবে কেন? বিএনপি রাজপথে দাঁড়ালে হাঁটু কাপে। রাজনীতি যদি করতে হয়, হাঁটু কাঁপুনি ছাড়া দাঁড়ান। না হয় রাজনীতি থেকে বিদায় নেন। 

তিনি বলেন, মিথ্যা বলার জন্য যদি কোনো পুরস্কার থাকত, তাহলে নিঃসন্দেহে প্রথম পুরস্কার পেতেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা দলছুট। তাদের দলের অনেক বড় বড় নেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর অনুসারী ছিলেন। কিন্তু তারা ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট গ্রহণের জন্য সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের সঙ্গে হাত মেলান। পরে তাদের দলের নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে হাত মেলান। 

তিনি বলেন, দলছুট নেতারা কখনও দেশকে কিছু দিতে পারে না। দলছুট রাজনীতিবিদরা দেশের মানুষকে কিছু দিতে পারে না। তারা শুধু নিজেদের আখের গোছাতে জানে। 

হাছান মাহমুদ বলেন, পাকিস্তান সৃষ্টির পর এদেশে জমিদার শ্রেণির হাতে রাজনীতি বন্দি ছিল, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী রাজনীতি সাধারণ মানুষের কাতারে নিয়ে আসেন। অসাম্প্র্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী ভাসানী আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেন। রাজনীতির ইতিহাসে ভাসানীর নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, মওলানা ভাসানী ক্ষমতার জন্য কোনোদিন রাজনীতি করেননি। যদি সেই লোভ থাকত তিনি পাকিস্তানের মন্ত্রী হতে পারতেন। হাছান মাহমুদ বিএনপি নেতাদের মওলানা ভাসানীর আদর্শ ধারণ করে রাজনীতি করতে আহ্বান জানান।  

ন্যাপ (ভাসানী) চেয়ারম্যান এমএ ভাসানীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেনÑসংসদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল আমিন রুহুল, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, কৃষক লীগের সাবেক সহসভাপতি এমএ করিম, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আজগর আলী, নারী নেত্রী উর্মি খান, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা ও বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি লায়ব গণি মিয়া বাবুল প্রমুখ।