নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় নির্বাচনের আগে সংলাপে বসতে বিএনপি রাজি থাকলে বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে আগামী নির্বাচন যে সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনেই হবে, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেছেন, কারও প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী দেশে নির্বাচন হবে না। বিরোধী দলের কর্মসূচি রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে নির্বাচনের আগ পর্যন্ত মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগ।
কোরবানির ঈদের ছুটির পর প্রথম কর্মদিবসে গতকাল রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ বিষয়ে কথা বলেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী। বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নিয়ে এক প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনি ফখরুলকে জিজ্ঞেস করেন তারা সংলাপ করতে রাজি আছে কি না। এরপর আমরা বিবেচনা করব। কারণ আমাদের প্রেসিডেন্ট (রাষ্ট্রপতি) একবার ডেকেছিলেন, নির্বাচন কমিশন দুবার তাদের ডেকেছে, তারা আসেনি। তাদের অ্যাটিচিউডটা কী, সেটা আগে জানান।
বিএনপি নির্বাচনে না এলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে কি নাÑসেই প্রশ্নে কাদের বলেন, আমি বলেছি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে। কত দল নির্বাচনে অংশ নেবে, সেটা দেখবেন। আমিই সবকিছু, এ কথা আমাদের কারোই মনে করা ঠিক নয়। আমি এখনও চাই বিএনপি নির্বাচনে আসুক। ইলেকশনটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হোক, তা আমরা চাই।
সরকার পতনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের আন্দোলন নিয়ে এক প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন শুনছি ৩৬ পার্টি। ছিল ৫৪, তারপর ৫৪ থেকে ৫২, সর্বশেষ ৩৬ দলের রূপরেখা, এক দফার আন্দোলন। ৩৬ দল এক দফার আন্দোলন করবে। আন্দোলন তো এখনও শুরু হয়নি। শুরু হতে হতে আবার কয় দল এখান থেকে কেটে পড়ে এবং কয় দল শেষ পর্যন্ত থাকে, সেটাও অবশ্য দেখার বিষয়।
তিনি বলেন, আমাদের অবস্থান আমরা রাজনীতিকে রাজনৈতিকভাবে
মোকাবিলা করব। রাজনীতির সঙ্গে যখন সশস্ত্র বা সহিংস কিছু যোগ হবে, তখন পরিস্থিতিই বলে দেবে আমরা কী করব। সেটা তো আমরা চুপ করে বসে থাকতে পারি না। আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নে কাদের বলেন, উন্নয়ন সহযোগীরা সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে কথা বলছে, আমরাও শুনছি। আমাদের সঙ্গেও তারা কথা বলছে। কথা আমরা শুনব, পরামর্শও শুনব। ভালো কথা হলে, ভালো পরামর্শ কেউ দিলে সেটাও আমরা শুনব।