Print Date & Time : 2 July 2025 Wednesday 2:26 am

বিএম এনার্জির সঙ্গে পদ্মা অয়েলের চুক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক: নিজস্ব ফিলিং স্টেশনের মাধ্যমে এলপি গ্যাস বিক্রি করবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড। এজন্য বিএম এনার্জি (বিডি) লিমিটেডের (ব্র্যান্ডের নাম বিএম এলপি গ্যাস) মধ্যে একটি চুক্তি সম্পন্ন করেছে কোম্পানিটি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, ব্যবসা সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে বিএম এনার্জি (বিডি) লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে। নিজস্ব এলপিজি রিফুয়েলিং স্টেশন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এলপিজি ও পেট্রোলিয়াম অয়েল বিক্রি করবে। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি লিটার এলপি গ্যাস বিক্রির বিপরীতে ৫০ পয়সা করে রয়্যালটি বা কমিশন পাবে পদ্মা অয়েল। সম্প্রতি বসুন্ধরা এলপি গ্যাস ও পেট্রোম্যাক্স এলপিজির মধ্যে একটি চুক্তি সম্পন্ন করেছে কোম্পানিটি।

৩০ জুন ২০২০ হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৭ টাকা ৭৯ পয়সা। এর আগের বছর ইপিএস ছিল ২৯ টাকা সাত পয়সা। আলোচিত বছরে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ১৫৭ টাকা ৬৪ পয়সা। আর এ বছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৮০ টাকা ৯১ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৯৭ শতাংশ বা এক টাকা ৯০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১৯৩ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৯৩ টাকা ৬০ পয়সা। দিনজুড়ে ৪৯ হাজার ৫৩৭টি শেয়ার মোট ১০৫ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৯৬ লাখ টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৯৩ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২০০ টাকায় হাতবদল হয়। এক বছরে শেয়ারদর ১৫৫ থেকে ২৩১ টাকা ৮০ পয়সায় ওঠানামা করে।

কোম্পানিটি ১৯৭৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯৮ কোটি ২৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৩০৫ কোটি চার লাখ টাকা।

এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ১৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়, যা তার আগের বছরের সমান। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৯ টাকা সাত পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়ায় ১৪২ টাকা ৮৫ পয়সা, যা তার আগের বছরের একই সময় ছিল যথাক্রমে ৩৪ টাকা ১৮ পয়সা এবং ১২৬ টাকা ৭৮ পয়সা।

কোম্পানিটির মোট ৯ কোটি ৮২ লাখ ৩২ হাজার ৭৫০টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে দুই দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ, সরকারি ৫০ দশমিক ৩৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ৩০ দশমিক ৩৭ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ৯৭ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ১৬ দশমিক ২৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।