প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় বিএম কনটেইনার ডিপো ১১৮টি সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হতো। এসব ক্যামেরার তথ্য সংরক্ষিত হতো ১০টি ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডিং (ডিভিআর) মেশিনে। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল ডিভিআর মেশিনগুলো জব্দ করে।
সিআইডি চট্টগ্রামের পরিদর্শক মোহাম্মদ শরীফ জানান, সীতাকুণ্ডে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বিএম ডিপোয় ১১৮টির মতো সিসিটিভি ছিল। সেগুলোয় ধারণকৃত ভিডিও ১০টি ডিভিআর মেশিনে জমা হতো। তিনি জানান, আমরা মেশিনগুলো জব্দ করেছি। সব ডিভিআর মেশিন আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারণ অগ্নিকাণ্ডের সময় ডিপোর আইটি কক্ষটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে
গেছে। মেশিনগুলো সীতাকুণ্ড থানা হেফাজতে দেয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞ দিয়ে ডিভিআরগুলোয় থাকা তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে।
এদিকে কনটেইনার ডিপোর ভেতরে চলছে ধ্বংসস্তূপ সরানো ও ধোয়ামোছার কাজ। ডিপো কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব লোকবল ও যন্ত্রপাতি দিয়ে এগুলো সরাচ্ছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, পোড়া ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে পুরোপুরি কাজের উপযোগী করতে বেশ কয়েক দিন লেগে যাবে।
গত ৪ জুন শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। রাত ১০টার পর আগুনের খবর ছড়িয়ে পড়ে। রাত ১২টার পর থেকে একের পর এক মৃতের সংবাদ আসতে থাকে। সময় যত গড়াতে থাকে, মৃতের সংখ্যাও তত বাড়তে থাকে।
এ দুর্ঘটনায় সর্বশেষ ৪৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৪৬ জনের মধ্যে ২৭ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। এসব মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখনও ১৯ জনের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
এছাড়া এখনও আহত ৯৯ জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতাল, আগ্রাবাদ মা-শিশু হাসপাতাল, পার্কভিউ হসপিটালসহ ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটেও আহত অনেকে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক।