বিএসআরএম স্টিলসের ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেড ৩০ জুন ২০১৭ পর্যন্ত হিসাববছরের জন্য চূড়ান্ত লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১৫ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর আগে ২০ শতাংশ নগদ অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। সে হিসেবে সদ্য সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য মোট ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করল। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে আট টাকা ৬৬ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ৩৩ টাকা ৭২ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ, চিটাগং সেন্টার, এসএস খালেদ রোড, চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর।

সর্বশেষ কার্যদিবসে শেয়ারদর এক দশমিক ৮৭ শতাংশ বা এক টাকা ৭০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৮৯ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ৮৯ টাকা। দিনজুড়ে তিন লাখ ৩৮ হাজার ৪০০টি শেয়ার মোট ৫৯০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর তিন কোটি এক লাখ ৪৫ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৮৮ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৯১ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৮৮ টাকা থেকে ১০৭ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।

‘এ’ ক্যাটাগরির এ কোম্পানিটি ২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ২০১৫ সমাপ্ত হিসাববছরে ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে, যা আগের বছরের দ্বিগুণ। এ সময় ইপিএস হয়েছে ছয় টাকা ১৪ পয়সা এবং এনএভি ৩০ টাকা তিন পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে তিন টাকা ৬৩ পয়সা ও ২৫ টাকা ৩৪ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ২০৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ১২৩ কোটি ৯২ লাখ ২০ হাজার টাকা।

কোম্পানির ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩৪১ কোটি ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৬৮৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।

ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের (সিআরআইএসএল) ঋণমান অনুযায়ী কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে ‘এএ+’ এবং স্বল্প মেয়াদে ‘এসটি-২’ রেটিং পেয়েছে। ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও ৩১ মার্চ ২০১৭ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।

প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছিল দুই টাকা ২১ পয়সা এবং কর-পরবর্তী মুনাফা ছিল ৭৫ কোটি ৬৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস ছিল এক টাকা ৪৬ পয়সা এবং কর-পরবর্তী মুনাফা ৪৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা, যা তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস ছিল এক টাকা ২৬ পয়সা এবং ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা ছিল ৪২ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাতে ১৪ দশমিক পাঁচ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১৭ দশমিক ৮৭।

কোম্পানিটির মোট ৩৪ কোটি ১৭ লাখ ৭৫ হাজার শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৭০ দশমিক ৫৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৮ দশমিক ৪০ শতাংশ, বিদেশি শূন্য দশমিক ৩৬ শতাংশ ও বাকি ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।

 

Add Comment

Click here to post a comment

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০