Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 3:26 am

বিএসইসিকে ডিবিএ’র চিঠি: গ্রাহকের নগদ অর্থ গ্রহণের সীমা বাড়ানোর দাবি

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রোকারেজ হাউজে গ্রাহকের নগদ অর্থ গ্রহণের সীমা ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বরাবর চিঠি পাঠিয়েছে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)। একই চিঠি উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকেও পাঠিয়েছে সংগঠনটি। চিঠিতে স্টেকহোল্ডারদের জন্য মার্জিনমুক্ত (লেনদেনের বিপরীতে রাখা জামানত) সীমা বাড়ানোর প্রস্তাবও দিয়েছে ডিবিএ।

ডিবিএর সভাপতি আহমেদ রশিদ লালীর সই করা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, পুঁজিবাজারে ক্রমেই লেনদেন বাড়ছে। এমন অবস্থায় গ্রাহকের কাছ থেকে নগদ টাকা জমা নেওয়ার গ্রহণযোগ্য সীমা বাড়িয়ে ১০ লাখ করার প্রস্তাব করেছে ডিবিএ। বর্তমানে ব্রোকারেজ হাউজে নগদে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জমা দিতে পারেন গ্রাহকরা। এর অতিরিক্ত হলে চেকের মাধ্যমে জমা দিতে হয়। এতে টাকার উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশও রয়েছে। এছাড়া গ্রাহক নগদ সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্রোকারেজ হাউজে জমা দিতে পারবেন বলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) আইনে বলা হয়েছে।

এদিকে বর্তমানে সদস্যদের যে মার্জিনমুক্ত সীমা রয়েছে, তা পর্যাপ্ত নয় বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে আরও বলা হয়েছে, বাজারের স্বার্থে স্টেকহোল্ডারদের জন্য মার্জিনমুক্ত লেনদেনের পরিমাণ বাড়িয়ে ২৫ কোটি টাকা করা প্রয়োজন।

বুধবার বিএসইসিতে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, বর্তমানে দৈনিক ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত লেনদেনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্রোকারকে স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে কোনো জামানত রাখতে হয় না। লেনদেনের পরিমাণ ১০ কোটি টাকার বেশি হলে বিভিন্ন স্তর অনুসারে নির্দিষ্ট পরিমাণে জামানত জমা রাখতে হয়। নগদ টাকায় মার্জিন রাখা যায়। আবার ব্যাংক ড্রাফট, পে-অর্ডার অথবা ব্যাংক গ্যারান্টির মাধ্যমেও মার্জিন রাখা যায়।

বর্তমানে ১০ কোটি টাকার পর থেকে ১৫ কোটি টাকা পর্যন্ত লেনদেনের ক্ষেত্রে বাড়তি লেনদেনের ওপর ২০ শতাংশ মার্জিন জমা দিতে হয়। ১৫ কোটি টাকার বেশি লেনদেনের ক্ষেত্রে বাড়তি লেনদেনের ওপর ১০০ শতাংশ মার্জিন দিতে হয় স্টেকহোল্ডারকে। ডিবিএ ১০ কোটি টাকার পরিবর্তে ২৫ কোটি টাকা পর্যন্ত লেনদেনকে মার্জিনমুক্ত রাখার প্রস্তাব দিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ডিবিএ’র সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্যাশ ট্রান্সফার রিপোর্ট (সিটিআর) নিচ্ছে না। তাই গ্রাহকদের কাছ থেকে নগদ টাকা জমা নেওয়ার গ্রহণযোগ্য সীমা বাড়িয়ে ১০ লাখ করার প্রস্তাব করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও স্টক এক্সচেঞ্জদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে স্টেকহোল্ডারদের মার্জিন সীমাও বাড়ানোর প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।’