নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সাভারের সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৫ সদস্য বিশিষ্ট যে নতুন পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করেছিল সে নির্দেশনাকে ৬ মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি এ নির্দেশনা কেন বেআইনি বলে গণ্য হবে না সে বিষয়ে বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কোম্পানিকে কারণ দর্শাতে রুল জারি করেছেন আদালত। হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মাহমুদুল হক ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের যৌথ বেঞ্চ ২ এপ্রিল এ রুল জারি করেন
আদালত সূত্রে জানা যায়, এ বছরের ২৩ মার্চ সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের পর্ষদ পুনর্গঠনের মাধ্যমে পাঁচজন নতুন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের জন্য ব্যবস্থা নিতে কোম্পানিটিকে নির্দেশনা জারি করেছিল বিএসইসি। বিএসইসির নিয়োগ করা পর্ষদ সদস্যরা হলেন লে. জেনারেল (অব.) শেখ মামুন খালেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সুবোধ দেবনাথ, দ্য জুরিস্ট ঢাকা বাংলাদেশের পার্টনার কাওসার আহমেদ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল কাইয়ুম এবং ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা আবিদ আল হাসান। এর মধ্যে লে. জেনারেল (অব.) শেখ মামুন খালেদকে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগের জন্য কোম্পানিকে নির্দেশনা দেয় বিএসইসি।
কমিশনের জারি করা এ নির্দেশনার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মো. সারোয়ার হোসেন। রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট পর্ষদ পুনর্গঠনসংক্রান্ত বিএসইসির আদেশের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। পাশাপাশি বিএসইসি, বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ও সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজকে এ নির্দেশনা কেন বেআইনি বলে গণ্য হবে না সে বিষয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে রুল জারি করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মো. সারোয়ার হোসেন বলেন, ‘কোম্পানির পর্ষদ পুনর্গঠনসংক্রান্ত বিএসইসির সিদ্ধান্তে আমরা সংক্ষুব্ধ হয়েছি। এর প্রতিকারের জন্য আমরা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছি। আদালত আমাদের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে পর্ষদ পুনর্গঠনের সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। পাশাপাশি এ বিষয়ে রুল জারি করেছেন।’
বিএসইসির নির্দেশনায় বেশকিছু শর্ত পরিপালন করতে বলা হয়েছিল। এর মধ্যে রয়েছে পুনর্গঠিত পর্ষদকে ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইন, ১৯৬৯ সালের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ২০২০ সালের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ নীতিমালা, ২০১৮ সালের করপোরেট গভর্ন্যান্স কোড এবং অন্যান্য সিকিউরিটিজ আইন এবং নীতিমালা ও প্রবিধান মেনে কোম্পানির কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
২০১৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৭৯ কোটি ৫৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৬৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৭ কোটি ৯৫ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১। এর মধ্যে ৩১ দশমিক ৬৫ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা পরিচালক, ১৫ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ৫৩ দশমিক ৩১ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।