বিওতে লভ্যাংশ পাঠিয়েছে দুই কোম্পানি  

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৬ সালে ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের ঘোষিত বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবে বোনাস লভ্যাংশ পাঠিয়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক : ২০১৬  সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পাঁচ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। এ সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা আট পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ১৫ টাকা ৮৫ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ১৪১ কোটি তিন লাখ ৩০ হাজার টাকা।

কোম্পানিটি ২০০৮ সালে তালিকাভুক্ত হয়। ২০১৫ সমাপ্ত হিসাববছরে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে, যা আগের বছর ছিল ১০ শতাংশ বোনাস। ওই সময় ইপিএস হয়েছে এক টাকা ২৬ পয়সা এবং এনএভি ছিল ১৪ টাকা ২৮ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা ৬৩ পয়সা ও ১৬ টাকা ৫৫ পয়সা। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৭১২ কোটি ৮১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৩৬৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

কোম্পানিটির মোট ৭১ কোটি ২৮ লাখ ১৭ হাজার ৫৮২টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্য মতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৪৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক ১৫ দশমিক ৬১ শতাংশ, বিদেশি চার দশমিক ৯৫ শতাংশ  ও বাকি ৩১ দশমিক ৪৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।

স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স: ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরে ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে, যা আগের বছরের সমান। এ সময় ইপিএস হয়েছে ৯৮ পয়সা এবং এনএভি ১৭ টাকা ২৬ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে দুই টাকা ৫৯ পয়সা ও ১৭ টাকা ৯১ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে তিন কোটি ১৯ লাখ টাকা। এটি আগের বছর ছিল সাত কোটি ৬৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩৫ কোটি ৭৮ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২০ টাকা ৩৭ লাখ টাকা।

চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ইপিএস হয়েছে ৪৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল সাত পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ৩৭ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০১৭ পর্যন্ত এনএভি ১৭ টাকা ৭০ পয়সা। এটি  আগের বছরের একই সময় ছিল ১৭ টাকা ৯৮ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে এক কোটি ৪৩ লাখ ২০ হাজার টাকা।

ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৫২ দশমিক ৪০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৩৩ দশমিক ১৫ শতাংশ শেয়ার।